Post Office: স্টেশনে নয়, ট্রেনের টিকিট কাটতে চলে যান পোস্ট অফিস
Post Office 2.0: পোস্ট অফিসের ওই কাউন্টারে গিয়ে রিজার্ভেশন ফর্ম ফিল আপ করুন, গন্তব্য ও তারিখ দিন, ট্রেনের নম্বর লিখুন। এরপর পেমেন্ট করুন। সঙ্গে সঙ্গে হাতে টিকিট পেয়ে যান। ১ অক্টোবর থেকে চালু হয়ে গিয়েছে নতুন নিয়ম। যাত্রার ৬০ দিন আগে এই টিকিট কাটা যাবে।

নয়া দিল্লি: দশকের পর দশক ধরে পরিষেবা দিয়ে আসছে পোস্ট অফিস। একসময় চিঠি আদান-প্রদানই ছিল মূল পরিষেবা। পাশাপাশি টাকা জমা রাখার নানারকমের স্কিমও ছিল। কিন্তু এবার ক্রমশ বদলে যাচ্ছে পরিষেবা। বর্তমানে শুধুমাত্র বিনিয়োগ স্কিম নয়, আরও অনেক ধরনের পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে।
গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন ছোট সেভিংস স্কিমে টাকা রাখতে পারেন এই পোস্ট অফিসে। যেমন- আরডি বা রেকারিং ডিপোজিট, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ, এসসিএসএস বা সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম ও এনএসসি বা ন্যাশনাল সেভিংস স্কিম। সেই সঙ্গে এখন রেলের টিকিট কাটাও যায় পোস্ট অফিস থেকে, আর স্টেশনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
গোটা দেশে ৩৩৩টি পোস্ট অফিস বেছে নেওয়া হয়েছে, যেখান থেকে রেলের টিকিট কাটা যায়। প্রত্য়ন্ত অঞ্চলে যেখানে কাছাকাছি কোনও স্টেশন নেই, সেখানে পোস্ট অফিস থেকে টিকিট কাটা যায় সহজেই। রেল বুকিং কাউন্টারের মতোই প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম থাকছে এই পোস্ট অফিসগুলিতে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়াও একেবারে রেলের মতোই। পোস্ট অফিসের ওই কাউন্টারে গিয়ে রিজার্ভেশন ফর্ম ফিল আপ করুন, গন্তব্য ও তারিখ দিন, ট্রেনের নম্বর লিখুন। এরপর পেমেন্ট করুন। সঙ্গে সঙ্গে হাতে টিকিট পেয়ে যান। ১ অক্টোবর থেকে চালু হয়ে গিয়েছে নতুন নিয়ম। যাত্রার ৬০ দিন আগে এই টিকিট কাটা যাবে।
বর্তমানে পোস্ট অফিস থেকেই পূর্ণ ব্যাংকিং পরিষেবা পাওয়া যায়। রয়েছে পোস্টাল লাইফ ইনস্যুরেন্স স্কিম। এছাড়া গ্রাহকরা এক মিনিটেই ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন পোস্ট অফিসে। সব মিলিয়ে পোস্ট অফিসের নতুন সব পরিষেবা গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
