নয়া দিল্লি : করোনা মন্দা কাটিয়ে ফের ধীরে ধীরে গোটা দেশ ঘুরতে দাঁড়াতে শুরু করলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব (Russia-Ukraine war effect) নতুন করে জল ঢেলেছে অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধিতে। হু হু করে দাম বাড়তে শুরু করেছে একাধিক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের। দাম বেড়েছে পেট্রোপণ্যেরও। এমতাবস্থায় এবার এফএমসিজি প্রোডাক্টের দামও অচিরেই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় এফএমসিজি সংস্থা নেসলে ইন্ডিয়াকে(FMCG company Nestle India)। নেসলের দাবি তাদের যাবতীয় পণ্য তৈরির জন্য যে সমস্ত কাঁচামালের প্রয়োজন হয় সেগুলি দাম অনেকটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে প্যাকেজিং খরচও আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আর সেই কারণেই ম্যাগি থেকে কিটক্যাট তাদের যাবতীয় পণ্যের দাম শীঘ্রই বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিতে নেসলে ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ‘আগের ত্রৈমাসিক থেকেই মূল্যবৃদ্ধির আঁচ সরাসরি পড়তে শুরু করেছিল। সমস্ত কাঁচামাল ও প্যাকেজিং পণ্যের দাম বিগত ১০ বছরের তুলনায় রেকর্ড মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে। এই ত্রৈমাসিকেও একই অবস্থা রয়েছে। একটানা মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে গোটা ব্যবসাতেই’। এই সংস্থাই ম্যাগি, কিটক্যাট এবং নেসক্যাফের মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের মালিক। নেসলে বলছে ২০২২ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে নুডলসের বিক্রি অনেকটাই বাড়ে। প্রসঙ্গত, নেসলে আবার ‘মার্চ টু মার্চ’ অর্থনৈতিক বছরের বদলে জানুয়ারি-ডিসেম্বর সার্কেল মেনে কাজ করে। এদিকে ব্যবসার ময়দানে একক ভাবে কিটক্যাট ও মাঞ্চের শ্রীবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শেষ ত্রৈমাসিকে তাদের ব্যবসায়িক মুনাফাও চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি সংস্থাকে ভালো ব্যবসা এনে দিয়েছে নেসক্যাফেও।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে নেসলে মোট ৫৯৫ কোটি টাকার মুনাফা ঘরে তুলেছেন। সংস্থার মোট পণ্য বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। সংস্থার সামগ্রিক বিক্রি বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে ৯.৭ শতাংশ। পাশাপাশি ভারতে মোট পণ্য বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে ১০.২ শতাংশ। প্রসঙ্গত, গত মাসে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেডও তাদের চা, কফি, দুধ ও নুডলসের দাম অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। শুধুমাত্র তাদের তাজমহল চায়ের দামই ৩.৭ শতাংশ থেকে ৫.৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন- অভিনয় ছেড়ে পুলিশের চাকরি নিলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, টুইট করে জানিয়েছেন সেই কথা