PM Modi Breakfast meet: প্রাতরাশের টেবিলে দক্ষিণ ভারতের বিজেপি সাংসদদের কাশী-বিশ্বনাথ ভ্রমণের বার্তা নরেন্দ্র মোদীর
Kashi Vishwanath Corridor: সমগ্র দেশে বিজেপি শক্তিশালী হলেও বারবার দক্ষিণ ভারতে গিয়ে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপির বিজয়রথ। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে একমাত্র কর্ণাটকেই বিজেপি সরকার রয়েছে।
নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার দক্ষিণের পাঁচ রাজ্য, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক তামিলনাড়ু এবং কেরালের বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে প্রাতরাশ বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প নবনির্মিত কাশী-বিশ্বনাথ করিডর দর্শনের জন্য সাংসদদের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চলতি সপ্তাহের নিজের লোকসভা কেন্দ্র এই নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সূত্রের খবর বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন,”নিজে চোখে দেখেই শুধুমাত্র কাশীর গৌরব এবং দেবত্ব অনুভব করা যায়।” কাশী বিশ্বনাথের পাশাপাশি আধুনিকভাবে সংস্কার করা বারাণসী রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনের জন্যও সাংসদদরে পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সমগ্র দেশে বিজেপি শক্তিশালী হলেও বারবার দক্ষিণ ভারতে গিয়ে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপির বিজয়রথ। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে একমাত্র কর্ণাটকেই বিজেপি সরকার রয়েছে। তাই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দক্ষিণের রাজ্যগুলির ওপর বিজেপি যে বাড়তি জোর দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বৈঠক থেকেই তা স্পষ্ট। জানা গিয়েছে, বৈঠকে সাংসদদের প্রধানমন্ত্রী নিজেদের লোকসভা কেন্দ্রে আরও বেশি করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সহ নানা রকমের কর্মসূচি আয়োজন করে সেখান থেকে আরও বেশি করে মেধা তুলে আনার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কেন্দ্র যে সবরকমের সাহায্য করতে প্রস্তুত সেকথাও সাংসদদের জানিয়েছেন মোদী।
গত সপ্তাহেও একই কায়দায় উত্তর পূর্ব ভারতের বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। উত্তর পূর্ব ভারতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মেধা তাঁর ‘হৃদয়ের খুব কাছের’ বলেই জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সোমবার, উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের নতুন করিডর উদ্বোধনের পর, সেই নির্মাণে যেসব শ্রমিকদের অবদান রয়েছে তাদের সকলের সঙ্গে একসঙ্গে বসে খাবার খেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের অবদানকে সম্মান জানিয়ে মোদী বলেছিলেন, “আমি সকল শ্রমিককে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই যারা কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও সফলভাবে এই মহৎ নির্মাণের স্বপ্নকে সার্থক করেছেন।”
প্রসঙ্গত, সোমবার কাশী বিশ্বনাথ করিডরের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগে কাশীর মন্দির গঙ্গা থেকে দেখা যেত না। শুধু মন্দিরের চূড়া উপর থেকে উঁকি মারত। কিন্তু এখন গঙ্গা থেকে সোজা দেখা যাবে কাশীর মন্দির। ঢেলে সাজানো হয়েছে কাশী বিশ্বনাথ ধামকে। আর কাশীর এই নতুন রূপের মেগা উদ্বোধনে জাঁক-জমকের কোনও খামতি ছিল না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে ৩৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাশী বিশ্বনাথ করিডরের প্রথম ভাগের উদ্বোধন হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রাখলে এই কাশী বিশ্বনাথ করিডর নিঃসন্দেহে যোগীর বিজেপি সরকারকে ভোট ময়দানে অনেকটা এগিয়ে রাখবে বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লষকদের একাংশ।