Bizarre: সন্তান ধারণে ‘অক্ষম’ ঘরের বউ, মানুষের হাড়, মুরগির মাথা খাওয়াতো শ্বশুরবাড়ির লোকেরা

Superstition: মহারাষ্ট্রের গ্রামের ওই মহিলার উপর শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার দিনের পর দিন চলে যাচ্ছিল। কালো জাদুর শরণাপন্ন হয়ে অমানবিক এবং উদ্ভট আচরণের অত্যাচার সহ্য করছিলেন ওই মহিলা।

Bizarre: সন্তান ধারণে 'অক্ষম' ঘরের বউ, মানুষের হাড়, মুরগির মাথা খাওয়াতো শ্বশুরবাড়ির লোকেরা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 22, 2023 | 8:30 AM

পুণে: বিয়ের বেশ কিছু দিন কেটে গিয়েছে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সন্তান ধারণের আকাঙ্ক্ষা থাকলেও তা পূরণ হচ্ছিল না। তাই সন্তান ধারণের জন্য চিকিৎসার বদলে কালো জাদুর শরণাপন্ন হলেন ওই মহিলার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। অভিযোগ, কালো জাদুর শরণাপন্ন হয়ে ওই মহিলাকে মানব শরীরের হাড় গুঁড়ো করে খাওয়ানো হয়েছে। এমনকি প্রতি অমাবস্যার রাতে বাড়িতে বিভিন্ন রকম ক্রিয়াকলাপ ওই মহিলার শ্বশুরবড়ির লোকেরা চালাতেন বলে অভিযোগ। তার পর তাঁকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হত। সেখানে মহিলাকে মৃত মানুষের হাড়ের চূর্ণ খাওয়ানো হত। এর পাশাপাশি চিকেনের মাথা-পা খাওয়ানো হত বলেও অভিযোগ। সন্তান ধারণের সমস্যা মেটাতেই এই কাজ বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এবং স্থানীয় এক ওঝার পরামর্শ মতোই এই কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মহারাষ্ট্রের কোঙ্কন এলাকার একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।

মহারাষ্ট্রের গ্রামের ওই মহিলার উপর শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার দিনের পর দিন চলে যাচ্ছিল। কালো জাদুর শরণাপন্ন হয়ে অমানবিক এবং উদ্ভট আচরণের অত্যাচার সহ্য করছিলেন ওই মহিলা। এই বুধবার তিনি পুণে পুলিশের কাছে গিয়ে সমস্ত কথা খুলে বলেন এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনা নিয়ে পুণে পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ অফিসার বলেছেন, “ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ, ৩২৩, ৫০৪, ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।” এর পাশাপাশি অ্যান্টি সুপারস্টিশন অ্যাক্টেও মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নির্যাতিতার শ্বশুরবাড়ির মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

ঘটনা নিয়ে পুলিশের ওই উচ্চ পদস্থ অফিসার আরও বলেছেন, “ওই মহিলাকে অমাবস্যার দিন শ্মশানে নিয়ে গিয়ে হাড় গুঁড়ো খাওযানো হত। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ছাই খেতে বাধ্য করত বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। কোন শ্মশানে এই কাজ হত তা পরিদর্শন করব আমরা। এসিপি পদমর্যাদার এক অফিসারের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়েছে।” অন্ধবিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে যে পরিবারের লোকেরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, সেই পরিবারের লোকেদের যথেষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।