নয়া দিল্লি: কোন্দলের ছবিটা আগেই স্পষ্ট হয়েছিল। নভজ্যোত সিং সিধুকে পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা নিয়ে এ বার মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের আঁচ পৌঁছে গিয়েছে দিল্লি পর্যন্ত। সূত্রের খবর, সিধুকে রাজ্যে কংগ্রেসের প্রধান পদে নিয়ে আসার বিষয়ে আপত্তির কথা জানিয়ে সনিয়া গান্ধীকে একটি চিঠি দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। যেখানে তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, হাইকমান্ডের তরফে যদি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তবে তাঁরা মেনে নেবেন না। সিধুকে নিয়ে তাঁর ‘কিছু আপত্তি’ রয়েছে বলে সাফ জানিয়েছেন অমরিন্দর।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এমন দিনে অমরিন্দর কংগ্রেসের চেয়ারপার্সনকে এই চিঠি দিয়েছেন, যেদিন রাজধানীতে সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিধু। পঞ্জাবের প্রদেশ সভাপতি হওয়ার জন্য গান্ধী পরিবারও সিধুকেই বেছে নিয়েছে বলে খবর সূত্রের। সরকারিভাবে ঘোষণা কেবলমাত্র হয়নি। কিন্তু হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্র করে খোদ মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে অসন্তোষ জাহির করেছেন, তাতে কংগ্রেসের ফাটল আগামী সময় আরও চওড়া হতে পারে, এমন ইঙ্গিত পেতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যদিও সিধুর প্রদেশ সভাপতি হওয়ার বিষয়ে কোনও সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। তবে এ দিন সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সিধুর সাক্ষাতের পরই উৎসবে মেতে ওঠেন তাঁর সমর্থকেরা। কিন্তু তাঁদের হতাশ করে এ দিনও কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, সিধুকে পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করার পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই নিয়ে ফেলেছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। এ বাদে দু’জন ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট রাখা হবে। এঁদের মধ্যে একজন দলিত সম্প্রদায়ের এবং অপরজন হিন্দু হবেন। তবে ক্যাপ্টেনের আজকের চিঠির পর সনিয়া-রাহুলা কী সিদ্ধান্ত নেন সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। আরও পড়ুন: ‘পালান, আরএসএস-এ চলে যান, আপনাদের চাই না’, কাদের উদ্দেশে বার্তা রাহুলের?