নয়া দিল্লি: ফের দিল্লির দরবারে সিধু। বৃহস্পতিবারই কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালের (K C Venugopal) সঙ্গে দেখা করবেন পঞ্জবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। পঞ্জাবের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা হরিশ রাওয়াতের (Harish Rawat) সঙ্গেও তাঁর দেখা করার কথা রয়েছে।
কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সিধুর ইস্তফা ঘোষণা ও তার পরবর্তী নানা ঘটনার পর এই প্রথম দিল্লির নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন তিনি। গত ২৮ সেপ্টেম্বর আচমকাই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ইস্তফাপত্র পোস্ট করেন নভজ্য়োত সিং সিধু। তিনি লেখেন, পঞ্জাবের ভবিষ্যৎ ও উন্নয়ন নিয়ে তিনি কোনও রকমের সমঝোতা করতে পারবেন না। অমরিন্দর সিংয়ের মুখ্য়মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তাঁর প্রতিপক্ষ নভজ্যোত সিং সিধুর ইস্তফা ঘিরেও কংগ্রেসে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল।
আগামী বছরই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই দলীয় কোন্দল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কংগ্রেস। বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নভজ্য়োত সিং সিধুর সঙ্গে বিরোধ শুরু হয় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের। চলতি বছরেই সিধুর নাম যখন পঞ্জাবের কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে উঠে আসে, সেই সময়ও তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন অমরিন্দর সিং। পরে শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সিধুকে সভাপতি হিসাবে মেনে নেন অমরিন্দর।
এদিকে, কংগ্রেস সভাপতির পদে দায়িত্ব পাওয়ার পরই সিধু অমরিন্দর সিংকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে উঠে পড়ে লাগে। সিধু ঘনিষ্ঠ বিধায়করা বারংবার অমরিন্দরের ইস্তফার দাবি জানানোয়, শেষমেশ অপমানিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন অমরিন্দর সিং। এরপরই তিনি দলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনেছেন। সূত্রের খবর, তিনি নিজস্ব দল গড়তে পারেন। ইতিমধ্যেই একাধিক কংগ্রেস নেতা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন।
অন্যদিকে, অমরিন্দরের পরে নভজ্যোত সিং সিধুকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হবে বলে মনে করা হলেও, দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা চরণজিৎ সিং চন্নিকেই নয়া মুখ্য়মন্ত্রী হিসাবে বেছে নেন। সূত্রের খবর, নতুন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর গঠিত নয়া মন্ত্রিসভা নিয়ে অখুশি সিধু, সেই কারণেই তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন। পরে য়দিও দলীয় নেতাদের অনুরোধে ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সেই ইস্তফা প্রত্যাহার করে নেন।
নভজ্যোত সিং সিধুর এদিনের সফরে দলের প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে বলেই জানিয়েছেন হরিশ রাওয়াত। ১২ তারিখেই তিনি এই মর্মে একটি টুইটও করেছিলেন। এ দিকে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে দুদিন বাদেই কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক রয়েছে। তারই আগে সিধুর এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।