OP Soni Arrested: ৬ বছরেই ১৭৬ শতাংশ সম্পত্তি বৃদ্ধি! গ্রেফতার প্রাক্তন উপমুখ্য়মন্ত্রী
Disproportionate Assets Case: ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্য়ে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী ওপি সোনি ও তাঁর পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ ৪.৫২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১২.৪৮ কোটি টাকায়। ওপি সোনি তাঁর স্ত্রী ও ছেলের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কেনেন।
চণ্ডীগঢ়: গ্রেফতার পঞ্জাবের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী ওপি সোনি (OP Soni)। আয় বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার (Disproportionate Assets Case)অভিযোগে রবিবার পঞ্জাব ভিজিল্যান্স ব্যুরোর (Punjab Vigilance Bureau) তরফে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ওপি সোনির বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়। কিন্তু সেই সম্পত্তির কোনও হিসাব মেলেনি। আজ, সোমবার তাঁকে অমৃতসর আদালতে পেশ করা হবে।
সম্প্রতিই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান রাজ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা করেন। এরপরই প্রাক্তন উপমুখ্য়মন্ত্রী ওপি সোনির গ্রেফতারি। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে সোনির গ্রেফতারির পরই জল্পনা শুরু হয়েছে যে আরও নেতা-মন্ত্রীর নাম একে একে উঠে আসতে পারে তদন্তে।
পঞ্জাব ভিজিল্যান্স ব্যুরোর মুখপাত্র জানান, অমৃতসর রেঞ্জে ভিজিল্যান্স ব্যুরোর পুলিশ স্টেশনে ওপি সোনির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনের ১৩(১)(বি) ও ১৩(২) ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল। সেই এফআইআরের ভিত্তিতেই ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তদন্তে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্য়ে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী ওপি সোনি ও তাঁর পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ ৪.৫২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১২.৪৮ কোটি টাকায়। ওপি সোনি তাঁর স্ত্রী ও ছেলের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কেনেন। ৬ বছরের মধ্যেই প্রায় ১৭৬.০৮ শতাংশ আয় বৃদ্ধি হলেও, তার উৎস কী ছিল, তা জানাতে পারেননি ওপি সোনি।
এর আগেও একাধিকবার ওপি সোনিকে তলব করা হয়েছিল ভিজিল্যান্স ব্যুরোর তরফে। তিনি হাজিরাও দিয়েছিলেন এবং যাবতীয় স্থাবর ও অ-স্থাবর সম্পত্তির হিসাব দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন। যদিও শেষ অবধি সেই হিসাব তিনি দেননি।
উল্লেখ্য, একা ওপি সোনি নন, এর আগে প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক কুশলদীপ সিং ঢিলোনকেও হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বাকি দুই কংগ্রেস নেতা তথা মন্ত্রী ভরত ভূষণ আশু ও সাধু সিংয়ের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নুও সম্প্রতি বেশ কয়েকবার হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির তদন্তে ভিজিল্যান্স ব্যুরোর দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন।
গতকাল প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী ওপি সোনির গ্রেফতারির পরই আম আমি পার্টির সরকারের তরফে জানানো হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতি গ্রহণ করেছে। আইন অনুযায়ী তদন্ত চলছে। যারা দুর্নীতিতে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।