নয়া দিল্লি: বিক্ষুব্ধ জি-২৩ নেতারা (G-23 Leaders) যত সুর চড়াচ্ছেন, ততই চাপ বাড়ছে গান্ধী পরিবারের উপরে। তারা সুর নরম করলেও, পাঁচ রাজ্যেই বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বকে এত সহজে রেয়াত করতে রাজি নন বিক্ষুব্ধ নেতারা। সূত্রের খবর, একদিনের মধ্যেই পরপর দু’বার গুলাম নবি আজ়াদ(Ghulam Nabi Azad)-র বাড়িতে বিক্ষুব্ধ নেতারা বৈঠকে বসায়, নড়েচড়ে বসেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব (Congress Leaders)। শীঘ্রই তাঁরা বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আলাদাভাবে সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) ও রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বিক্ষুব্ধ জি-২৩ নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলেই ফের একবার বৈঠকে বসেন জি-২৩-র নেতারা। গুলাম নবি আজ়াদের বাড়িতে বসা ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ভূপিন্দর হুডা, আনন্দ শর্মা, কপিল সিব্বলের মতো নেতারা। বৈঠক শেষের পর বিক্ষুব্ধ নেতারা জানান, তাঁরা দলে কোনও ভাঙন চান না। বরং গান্ধীদেরই পরিবর্তন আনতে হবে।
জি-২৩ নেতারা পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন, সেখানেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, পতনের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং গোটা দেশ থেকেই কংগ্রেস নেতারা সমর্থন জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, গতকালের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, বিক্ষুব্ধ নেতারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সমমনস্ক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
উল্লেখ্য, গতকালই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দেখা করেছিলেন হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিক্ষুব্ধ নেতাদের মধ্যে অন্যতম ভূপিন্দর সিং হুডার সঙ্গে। প্রায় ৪৫ মিনিট তাঁদের বৈঠক চলে। এরপরই তিনি গুলাম নবি আজ়াদের বাড়িতে বসা বৈঠকে যোগ দিতে চলে যান। গতকালের বৈঠকে তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, সেই বিষয়ে কিছু না জানালেও, গান্ধী পরিবারের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবির পরই কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বসেছিলেন শীর্ষ নেতৃত্বরা। ওই বৈঠকে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সনিয়া গান্ধী পাঁচ রাজ্যের সভাপতিকে পদত্যাগ করতে বলেন। একইসঙ্গে, গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে জমা ক্ষোভ দূর করতে তিনি, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পদত্যাগ করতে রাজি বলেই জানিয়েছিলেন। তবে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য়রাই তাঁদের পদত্যাগ করতে বারণ করেন।