Railway Job Fraud Case: সরাসরি রেলমন্ত্রীর সঙ্গেই যোগাযোগ, এক সুপারিশেই মিলবে চাকরি! ফাঁস হল ২ কর্পোরেট কর্মীর কীর্তি
Railway Job Fraud Case: পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতিই তাদের কাছে হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশের বেশ কয়েকজন যুবক এসে প্রতারণার অভিযোগ জানান। সকলেরই অভিযোগ প্রায় এক হওয়ায় তদন্তে নামে পুলিশ।
নয়া দিল্লি: রেলমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব তাঁর আত্মীয়, কাকা সিবিআই অফিসার (CBI Officer)। বাবাও একটি বড় রাজনৈতিক দলের আর্থিক পরামর্শদাতা। তাঁর এক সুপারিশেই রেলে মিলবে চাকরি। তাও আবার ছোট পদে নয়, অ্যাসিস্টেন্ট স্টেশন মাস্টারের (Assistant Master) পদেই মিলবে পাকা চাকরি। তবে শর্ত একটাই, চাকরি পাওয়ার আগেই জমা দিতে হবে লক্ষাধিক টাকা। এই ফাঁদে পা দিয়েই সর্বস্বান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। অবশেষে দিল্লি পুলিশ(Delhi Police)-র জালে ধরা পড়ল দুই ব্যক্তি। জেরায় তারা স্বীকারও করে নিয়েছে যে ভারতীয় রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করেই তারা বেকার যুবকদের ঠকাতেন এবং মোটা টাকা হাতিয়ে নিতেন।
বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করার অভিযোগে রীতেশ (২৬) ও মোহিত রাজপুত (২৫) নামক দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রীতেশ ফরিদাবাদের বাসিন্দা এবং মোহিত হরিয়ানার অম্বালার বাসিন্দা।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতিই তাদের কাছে হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশের বেশ কয়েকজন যুবক এসে প্রতারণার অভিযোগ জানান। সকলেরই অভিযোগ প্রায় এক হওয়ায় তদন্তে নামে পুলিশ। সূত্র ধরে হরিয়ানার একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয় এবং রবিবার মূল অভিযুক্ত রীতেশকে ফরিদাবাদ থেকেই গ্রেফতার করা হয়। জেরায় রীতেশ স্বীকার করে নেন যে রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে তিনি প্রতারণা করতেন। কমপক্ষে ৫০ জনকে চাকরির টোপ দিয়ে ফাঁসিয়েছেন এবং তাদের কাছ থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাঁকে এই কাজে সাহায্য করত বন্ধু মোহিত।
এরপরই পুলিশ পূর্ব দিল্লির নির্মান বিহার থেকে সোমবার মোহিত রাজপুত নামক ওই যুবককেও গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, রীতেশ একটি বেসরকারী সংস্থায় মার্কেটিং ট্রেনার হিসাবে কাজ করেন। সেখানেই শিক্ষানবীশ কর্মচারীদের রেলওয়েতে অ্যাসিস্টেন্ট মাস্টার হিসাবে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন।
রীতেশ দাবি করত, তাঁর আত্মীয় রেলমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব। কাকা সিবিআই অফিসার। বাবাও একটি বড় রাজনৈতিক দলের আর্থিক পরামর্শদাতা। তাঁর এক সুপারিশেই রেলে চাকরি সম্ভব। পুলিশি ঝামেলাও হবে না। এক থানার এসএইচও-ও তাঁর বন্ধু। এভাবেই বেকার যুবক সহ একাধিক ব্যক্তিদের চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণা করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিতেন।
আরও পড়ুন: Navjot Singh Sidhu: হারের দুঃখ নেই, ‘আপ’কে মনোবল জোগাতে ব্যস্ত সিধু! বাড়ছে দলবদলের জল্পনা