Ashok Gehlot : ‘গান্ধী পরিবারই পারে কংগ্রেসকে একজোট রাখতে, সভাপতি হওয়া উচিত রাহুলেরই’, বললেেন অশোক গেহলট

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Mar 13, 2022 | 4:55 PM

Ashok Gehlot : দিল্লিতে শুরু হয়েছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। এই বৈঠকের প্রাক্কালে দলে গান্ধীদের ভবিষ্যত নিয়ে তৈরি হয়েছে জোর জল্পনা। আগামীতে দলের রাশ কার হাতে থাকবে, সেই বিতর্কের মাঝেই গান্ধীদের হয়ে সওয়াল করতে শোনা গেল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের বর্ষীয়ান নেতা অশোক গেহলটকে।

Ashok Gehlot : গান্ধী পরিবারই পারে কংগ্রেসকে একজোট রাখতে, সভাপতি হওয়া উচিত রাহুলেরই, বললেেন অশোক গেহলট
ছবি: ফাইল চিত্র

Follow Us

নয়া দিল্লি : দিল্লিতে শুরু হয়েছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। এই বৈঠকের প্রাক্কালে দলে গান্ধীদের ভবিষ্যত নিয়ে তৈরি হয়েছে জোর জল্পনা। আগামীতে দলের রাশ কার হাতে থাকবে, সেই বিতর্কের মাঝেই গান্ধীদের হয়ে সওয়াল করতে শোনা গেল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের বর্ষীয়ান নেতা অশোক গেহলটকে। অশোকের কথায়, কংগ্রেসে ঐক্য বজায় রাখতে গান্ধীদের উপস্থিতিতে অপরিহার্য। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, দলের সভাপতি হওয়া উচিত রাহুল গান্ধীর। গেহলটের এই মন্তব্য এমন এক সময় এল যখন দিল্লির রাজনৈতিক মহলে গান্ধীদের পদত্যাগের গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সদ্য প্রকাশিত পাঁচ রাজ্যের ফলে কংগ্রেস মুখ থুবড়ে পড়তেই গান্ধীদের উপর দোষ চাপাতে কোমর কষছে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ ‘জি ২৩’। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে পঞ্জাবের হার কংগ্রেসকে সবচেয়ে বেশি বিঁধেছে। কারণ এই রাজ্যে সরকার ছিল কংগ্রেসেরই। যদিও পঞ্জাবের হারের ক্ষেত্রে রাহুল গান্ধীর দোষ দেখছেন না অশোক গেহলট।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে অশোক গেহলট বলেন, ‘পঞ্জাবে কংগ্রেস হেরেছে দলীয় কোন্দলের জেরে। ২০১৭ সালে কংগ্রেস একজোট ছিল, তাই পঞ্জাবে আমরা জিতেছিলাম। চরণজিৎ সিং চান্নি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পরিস্থিতি ভালো হয়েছিল। তবে দোষ আমাদের। অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে আমরা পঞ্জাবে হারলাম।’ এরপর গেহলট আরও বলেন, ‘দলের সভাপতি হওয়া উচিত রাহুল গান্ধীর। প্রায় তিন দশক ধরে গান্ধী পরিবারের কেউ প্রধানমন্ত্রী হননি। এটা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ কংগ্রেসের ঐক্যের জন্য।’

এরপর বিজেপিকে তোপ দেগে অশোক গেহলট বলেন, ‘মেরুকরণের রাজনীতি খুবই সহজ। বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার চালাচ্ছে যে কংগ্রেস মুসলিমদের দল। তবে আমাদের মূল লক্ষ্য দেশের ঐক্য বজায় রাখা। ভোটের সময় ধর্ম সামনে চলে আসে। মূল্যস্ফীতি এবং কর্মসংস্থানের মতো ইস্যু পিছনের সারিতে চলে যায়।’ উল্লেখ্য, গেহলট গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। রাজস্থানে সচিন পাইলটের ‘বিদ্রোহের’ সময়ও ১০ জনপথের বাসিন্দারা গেহলটের পাশে ছিলেন। এহেন গেহলট এবার রাহুল গান্ধীর হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। পাশাপাশি পঞ্জাবের অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ তুলে রাহুলের ঘার থেকে চাপ সরানোরও চেষ্টা করলেন। প্রসঙ্গত, ভোটের আগে পঞ্জাবে রাহুল গান্ধী চন্নিকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন। তবে সেই চন্নি দুটি আসন থেকেই হেরেছেন। পঞ্জাবে কংগ্রেসের এই ধরনের ভরাডুবির সামনাসামনি এর আগে কোনওদিন হতে হয়নি কংগ্রেসকে। এই পরিস্থিতিতে গান্ধী ঘনিষ্ঠ বনাম বিক্ষুব্ধদের দ্বন্দ্ব দলের অন্দরের ফাটল রেখা আরও চওড়া করতে পারে।

আরও পড়ুন : CWC Meet : ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিত থাকবেন মনমোহন, থাকছেন না গান্ধী ঘনিষ্ঠ অ্যান্টনি সহ আরও ৪ কংগ্রেস নেতা

Next Article