নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণের জেরে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে চোখে জল, গলা ধরে এসেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)-র। প্রধানমন্ত্রীর সেই আবেগঘন মুহূর্তকেই কুমিরের কান্নার সঙ্গে তুলনা করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বললেন, “কুমিররা নিরাপরাধ”।
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গতবছর থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে চলেছেন রাহুল গান্ধী। কখনও অপরিকল্পিত লকডাউনের ফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা, কখনও আবার পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে টুইটে আক্রমণ করেছেন রাহুল গান্ধী। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতেই ফের একবার টুইট বাণ চালনা শুরু করেছেন তিনি।
সম্প্রতি বারাণসীর স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই করোনা সংক্রমণে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আবেগময় হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। যদিও বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর এই মুহূর্তকে অভিনয় বলেই অ্যাখ্যা দিয়েছে। শনিবার একাধিক টুইট করে সেই প্রসঙ্গই টেনে আনেন রাহুল গান্ধী।
প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, “ভ্যাকসিন নেই, জিডিপি তলানিতে ঠেকেছে, করোনা সংক্রমণে সর্বোচ্চ মৃত্যু… সরকারের প্রতিক্রিয়া? প্রধানমন্ত্রী কাঁদছেন।”
No Vaccines
Lowest GDP
Highest Covid deaths…GOI’s response?
PMCries. pic.twitter.com/b8TbfwnrlI
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) May 22, 2021
প্রধানমন্ত্রীর কান্নাকে কুমিরের কান্নার সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “কুমিররা নিরাপরাধ।”
Crocodiles are innocent.
मगरमच्छ निर्दोष हैं।
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) May 22, 2021
বিশ্বের বাকি দেশগুলির অর্থনীতি ও করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করে রাহুল গান্ধী একটি তালিকা শেয়ার করেন। সেই প্রসঙ্গে টুইটে লেখেন, “মোদী সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ভারতে মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণও ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার ওষুধের ঘাটতির পাশাপাশি এই রোগের ওষুধের ঘাটতিও দেখা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শীঘ্রই রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে তালি-থালি বাজানোর ঘোষণা করবেন।”
मोदी सिस्टम के कुशासन के चलते सिर्फ़ भारत में कोरोना के साथ-साथ ब्लैक फ़ंगस महामारी है। वैक्सीन की कमी तो है ही, इस नयी महामारी की दवा की भी भारी कमी है।
इससे जूझने के लिए PM ताली-थाली बजाने की घोषणा करते ही होंगे।
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) May 22, 2021
আরও পড়ুন: কোমর সমান জলেও পরোয়া নেই, এক ফোনেই নদী টপকে আদিবাসীদের কাছে পৌঁছলেন কেরলের স্বাস্থ্যকর্মীরা