নয়া দিল্লি: আজ থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament’s Winter Session)। তার আগেই ধোঁয়াশা ভরা টুইট করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। রবিবার তিনি একটি টুইটে লেখেন, “ঘৃণা কখনওই জিতবে না, তাই কখনও হার মানা বা থামা উচিত নয়।” রাহুলের এই টুইট ঘিরেই তৈরি হয়েছে জল্পনা। মনে করা হচ্ছে বিরোধী দলগুলিকে একজোট থাকার জন্য়ই পরোক্ষে এই বার্তা দিয়েছেন রাহুল।
একদিকে, গতকালই ত্রিপুরা পুরসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। সেখানেও গেরুয়া ঝড় উঠেছে। বিরোধী দল হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), সিপিআইএম (CPIM) ও স্থানীয় দল তিপরা মথা (TIPRA Motha) একটি করে আসন পেলেও, কংগ্রেসের খাতা শূন্যই রয়ে গিয়েছে। বিরোধী হিসাবে ধীরে ধীরে অস্তিত্ব হারানোর মুখেই কংগ্রেস(Congress)-র তরফে এই বার্তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করা হচ্ছে।
नफ़रत नहीं जीतेगी- विश्वास रखिए
हार नहीं माननी, रुकना नहीं है।#StayUnited— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) November 28, 2021
অন্যদিকে, আজ শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগেই কংগ্রেসের তরফে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বাকি বিরোধী দলগুলি যোগ দিলেও তৃণমূলের কোনও সাংসদ এই বৈঠকে যোগ দেবেন না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জন খাড়গের ডাকা বৈঠকে তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবে না।”
তৃণমূলের এই বৈঠক বয়কটের পরই আরও চিন্তায় পড়েছে কংগ্রেস। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বিরোধী জোট ভাঙতে চলেছে? চলতি বছরের বাদল অধিবেশনে বিরোধীদের মধ্যে যে ঐক্য দেখা গিয়েছিল, তাতে সম্প্রতিকালে পরিবর্তন এসেছে তৃণমূলের ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণেই। বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের পরই তৃণমূল জাতীয় স্তরেও সংগঠন বাড়াতে শুরু করেছে। ত্রিপুরা, গোয়া সহ একাধিক রাজ্যে পা রাখছে তৃণমূল। কংগ্রেসের নেতাদের ভাঙিয়েই দল ভরছে ঘাসফুল শিবির। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো থেকে শুরু করে অসমের কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব, সকলেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ ১২ জন সাংসদও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন গত সপ্তাহে।
সম্প্রতি মমতা নিজের দিল্লি সফরে স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে চলতে তিনি খুব একটা আগ্রহী নন। সাংবাদিকরা মমতাকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কবে দেখা করবেন? প্রশ্ন শুনে দৃশ্যতই চটে গিয়ে মমতা বলেন, “দিল্লি এলেই তাদের সঙ্গে দেখা করতে হবে এইরকম কোনও নিয়ম আছে নাকি? এটা কি কোনও সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা? আমি দেখা করার জন্য কোনও সময় চাইনি।”
বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস যে বিরোধী ঐক্য তৈরি করেছিল, তা যাতে অটুট থাকে, তার জন্য কংগ্রেসের তরফে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। অধিবেশন শুরুর আগে কংগ্রেসের বৈঠকেও দলনেত্রী সনিয়া গান্ধী বিরোধী জোটকে শক্তিশালী করার বার্তা দিয়েছেন দলের শীর্ষনেতৃত্বদের। তবে কি নিজেদের অস্তিত্ব হারানোর ভয় পাচ্ছে কংগ্রেস? এর উত্তর সময়ই দেবে।
আরও পড়ুন: Weather Update: ফের ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ! বৃষ্টির পূর্বাভাস মৌসম ভবনের