Rahul Gandhi: ‘সাদ্দামের মতো দেখতে লাগছে রাহুলকে’, তীব্র কটাক্ষ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

Rahul Gandi's face turning into Saddam Hussein: রাহুল গান্ধীর মুখ নাকি ইরাকের প্রাক্তন একনায়ক সাদ্দাম হুসেনের মতো হয়ে গিয়েছে। গুজরাটে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গুজরাটে এসে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

Rahul Gandhi: 'সাদ্দামের মতো দেখতে লাগছে রাহুলকে', তীব্র কটাক্ষ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর
রাহুল গান্ধীর মুখ নাকি ইরাকের প্রাক্তন একনায়ক সাদ্দাম হুসেনের মতো হয়ে গিয়েছে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 23, 2022 | 5:46 PM

আহমেদাবাদ: রাহুল গান্ধীর মুখ নাকি ইরাকের প্রাক্তন একনায়ক সাদ্দাম হুসেনের মতো হয়ে গিয়েছে। গুজরাটে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গুজরাটে এসে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি আরও জানিয়েছেন, রাহুল যদি তাঁর চেহারা সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, জওহরলাল নেহরু কিংবা মহাত্মা গান্ধীর মতো করতেন, তাহলে ভাল হত। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট বলেছেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ ট্রোলারদের মতো কথা বলছেন। প্রসঙ্গত, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরুর পর থেকে গোঁফ-দাড়ি কাটেননি রাহুল গান্ধী।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর), আহমেদাবাদে এক নির্বাচনী জনসভা করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি দেখলাম তার চেহারা বদলে গিয়েছে। দিন কয়েক আগে এক টিভি সাক্ষাৎকারে আমি বলেছি, চেহারা বদলে কোনও অসুবিধা নেই। তবে তিনি অন্তত সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল কিংবা নিদেনপক্ষে জওহরলাল নেহরুর মতো চেহারা করতে পারতেন। গান্ধীজির মতো চেহারা করলে আরও ভাল হত। কিন্তু কেন আপনার মুখ সাদ্দাম হুসেনের মতো হয়ে গিয়েছে? আসলে কংগ্রেসের সংস্কৃতির সঙ্গে ভারতের মানুষের কোনও যোগ নেই। যারা ভারতের সংস্কৃতির বোঝে না, তাদের সঙ্গেই কংগ্রেসের সংস্কৃতির মিল রয়েছে।”

প্রসঙ্গত, ইরাকের পঞ্চম প্রেসিডেন্ট ছিলেন সাদ্দাম হুসেন। ১৯৭৯ সালে ক্ষমতা দখলের পর, সেই দেশের একনায়কে পরিণত হয়েছিলেন সাদ্দাম। ২০০৩ সালে, ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র’ আছে দাবি করে, ইরাকে সামরিক অভিযান করেছিল আমেরিকা। মার্কিন যুদ্ধাস্ত্রের সামনে ভেঙে পড়েছিল সাদ্দামের শাসন। ২০০৬ সালে তাঁকে প্রাণদণ্ড দিয়েছিল আমেরিকা।

রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি দাবি করেন, রাহুলের উপস্থিতিই কংগ্রেসের ভোট কমিয়ে দেয়। এটা রাহুল গান্ধীও জানেন। আর সেই কারণেই তিনি এই যাত্রা কর্মসূচি সদ্য ভোট হওয়া হিমাচল প্রদেশ কিংবা ভোটমুখী গুজরাটে করছেন না। বদলে এমন রাজ্যগুলিতে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা চলছে, যেখানে ধারেকাছে কোনও নির্বাচন নেই। তবে, সোমবারই রাহুল গান্ধী গুজরাটে এসেছেন ভোট প্রচারে। যে কারণে, নির্ধারিত সময়ের দুদিন পরে, মহারাষ্ট্র থেকে মধ্যপ্রদেশে প্রবেশ করছে যাত্রা।

নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেত্রী মেধা পাটেকরের ভারত জোড়ো যাত্রায় সামিল হওয়া নিয়েও, গুজরাটের মানুষের সামনে রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, “ওই মহিলাই গুজরাটকে জল থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। যদি তিনি সফল হতেন, নর্মদার জল কখনও কচ্ছে পৌঁছত না। রাহুল গান্ধী এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে ভারত জোড়ো যাত্রা করছেন, যারা কখনই গুজরাটের উন্নয়ন চায়নি।”

বুধবার এই বিষয়ে সচিন পাইলট জানিয়েছেন, প্রতিক্রিয়া দিয়ে তিনি হিমন্ত বিশ্বের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চান না। তিনি বলেন, “আমার মতে, জনসমক্ষে ভাষার শালীনতা বজায় রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ভাগ্যবশত অসমের মুখ্যমন্ত্রী যে বাক্যগুলি উচ্চারণ করেছেন, তাতে তাঁকে সাধারণ ট্রোলার বলে মনে হচ্ছে।”