কবে স্বাভাবিক হবে ট্রেন চলাচল, জানে না রেলওয়ে

রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, চলতি আর্থিক বছরে এখনও অবধি যাত্রীদের কাছ থেকে মোট ৪৬০০ কোটি টাকা আয় করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এই আয়ের পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কবে স্বাভাবিক হবে ট্রেন চলাচল, জানে না রেলওয়ে
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 18, 2020 | 6:46 PM

নয়া দিল্লি: আনলক পর্বে ধীরে ধীরে পরিবহন ব্যবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখনও অনেক ট্রেনেরই চাকা গড়ায়নি। সীমীত সংখ্যক ট্রেনেই যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে সকলের মনে প্রশ্ন একটাই, কবে থেকে স্বাভাবিক হবে রেল পরিষেবা (Train service)। তবে এই উত্তর জানা নেই রেল কর্তৃপক্ষেরও (Railways)। আগের মতোই সম্পূর্ণরূপে রেল চলাচল শুরু করার নির্দিষ্ট কোনও দিন এখনও স্থির করা হয়নি, এমনটাই জানালেন রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব (V K Yadav)। একইসঙ্গে তিনি জানান, আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরে যাত্রাদের থেকে আয়ের পরিমাণ প্রায় ৮৭ শতাংশ কমে গিয়েছে।

শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, চলতি আর্থিক বছরে এখনও অবধি যাত্রীদের কাছ থেকে মোট ৪৬০০ কোটি টাকা আয় করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এই আয়ের পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।

করোনা সংক্রমণের (Coronavirus) জন্য মার্চ মাস থেকে রেল পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। লকডাউনের (Lockdown) মাঝেই বিশেষ কয়েকটি ট্রেন চালানো হয়। আনলক পর্বেও (Unlock phase) বেশ কিছু লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন চালু করা হলেও সীমিত যাত্রীসংখ্যার কারণে সেভাবে লাভ করতে পারেনি রেল। যাত্রী পরিষেবা স্বাভাবিক না হলেও মালবাহী ট্রেনের মাধ্যমে সেই ক্ষতি পূরণ হয়ে যাবে বলেই জানান ভি কে যাদব। তিনি জানান, ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে রাজস্বে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে জাতীয় পরিবহনকারী রেল গতবছরের তুলনায় ৯৭ শতাংশ পণ্য বহন করেছে।

আরও পড়ুন: সর্বনাশ! প্রধানমন্ত্রী মোদীর বর্তমান অফিস ‘বিক্রি হয়ে যাচ্ছে’!

রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,”ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক কবে হবে, তার একটি নির্দিষ্ট দিন বলা অসম্ভব। এখনও অবধি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। জেনারেল ম্যানেজাররা বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করছে। তাদের তরফে সবুজ সংকেত মিললেই আমরা ট্রেন চালাব। এখনও অবধি যাত্রীদের মাধ্যমে মোট ৪৬০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। বছর শেষের মধ্যে আমাদের লক্ষ্য এই আয় ১৫ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া। গত আর্থিক বছরে আয়ের পরিমাণ ছিল ৫৩ হাজার কোটি টাকা, অর্থাৎ এই বছরে আয়ের পরিমাণ ৮৭ শতাংশ কমে গিয়েছে।”

তিনি আরও জানান, সাধারণ মানুষের মনে এখনও করোনাভীতি রয়েছে, তাই প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ যাত্রী নিয়েই ট্রেন চলাচল করছে। বর্তমানে মোট ১০৮৯টি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করছে বলেও তিনি জানান। মেট্রো শহরগুলিতে পরিষেবার ক্ষেত্রে ভি কে যাদব বলেন,”কলকাতা মেট্রো ৬০ শতাংশ চলাচল করছে। মুম্বই শহরতলি ৮৮ শতাংশ ও চেন্নাইয়ে ৫০ শতাংশ ট্রেন চলাচল করছে। উচ্চপদস্থ কর্তারা সমস্ত পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছেন এবং ধাপে ধাপে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক করা হবে।”

আরও পড়ুন: গণধর্ষণই করা হয়েছিল হাথরসের তরুণীকে, চার্জশিটে জানাল সিবিআই