যোধপুর: সদ্য বিয়ে করেছেন। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার জন্য মন্দিরে ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিতেই হাজির হয়েছিলেন নবদম্পতি (Newly Wed Couple)। কিন্তু পুজো দেওয়া তো দূরের কথা, মন্দিরে ঢুকতেই দিলেন না পূজারি (Priest)। তাঁদের অপরাধ? জাতে তাঁরা দলিত (Dalit)। সেই কারণেই মন্দিরে ঢোকার অধিকার নেই তাঁদের। পূজারির সঙ্গে তাঁদের বচসার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তৎপর হয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ওই মন্দিরের পূজারিকে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানে (Rajasthan)। জালোরের ওই মন্দিরের পূজারিকে রবিবারই গ্রেফতার করা হয়।
শনিবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় ওই নবদম্পতির ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যায় আহোর জেলার নীলকান্ত গ্রামের একটি মন্দিরের পূজারি ভেলা ভারতী ওই নবদম্পতিকে মন্দিরে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন। পূজারির সঙ্গে তাঁদের বচসা করতেও দেখা যায়। মন্দিরে ঢুকতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করেই ক্ষুব্ধ দম্পতি পুলিশের দ্বারস্থ হন। তফশিলি জনজাতি/উপজাতি (নৃশংসতা প্রতিরোধ) আইনের অধীনে এফআইআর দায়ের করা হয়। এরপরই রবিবার মন্দিরের পূজারিকে গ্রেফতার করা হয়।
এফআইআর অনুযায়ী, শনিবারহ নীলকান্ত গ্রামের বাসিন্দা তারার সঙ্গে বিয়ে হয় কুকারামের। রবিবার নবদম্পতি মন্দিরে নারকেল উৎসর্গ করে নতুন জীবন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু মন্দিরের গেটের সামনে পৌঁছতেই পুরোহিত তাঁদের বাধা দেন। মন্দিরের বাইরে থেকেই তাঁদের নারকেল উৎসর্গ করতে বলেন। মন্দিরে ঢুকতে না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে পুরোহিত জানান, তাঁরা দলিত, তাই মন্দিরে ঢোকার কোনও অধিকার নেই। গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দাও ওই পুরোহিতকেই সমর্থন করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই নবদম্পতি। বারংবার অনুরোধের পরও মন্দিরে ঢুকতে না দেওয়ার পরই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। শেষ অবধি বিয়ের পোশাকেই থানায় হাজির হন নবদম্পতি। জাতের ভিত্তিতে ভেদাভেদের অভিযোগ করেন তাঁরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই পূজারির বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে অপরাধ প্রমাণিত হলে।