জয়পুর: সময় বদলালেও খুব একটা বদলায়নি মানুষের চিন্তাধারা। এখনও সমাজে বর্তমান পণপ্রথা(Dowry)। পণের দাবিতে মহিলাদের উপর অত্যাচারও বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। পণের দাবি না মেটানোয় আত্মীয়কে দিয়েই স্ত্রীকে গণধর্ষণ করালেন। এখানেই থামেননি অভিযুক্ত। টাকার লোভে পাশবিক সেই নির্যাতনের ভিডিয়ো করে তা ইউটিউবে আপলোড করেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের ভরতপুরে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার স্বামীই তাঁকে ধর্ষণ করার জন্য পরিবারের সদস্যদের উসকে ছিলেন।
ভরতপুরের স্টেশন হাউস অফিসার জানান, এক মহিলা তাঁর স্বামী ও দুই আত্মীয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইউটিউবে ওই ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে এখনও অবধি ভিডিয়োর প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
নির্যাতিতার দাবি, তাঁর পরিবার পণের দেড় লক্ষ টাকা মেটাতে না পারায়, পরিবারের সদস্যদের হাতেই তাঁকে ধর্ষিত হতে বাধ্য করে স্বামী। ওই ভিডিয়ো ইউটিউবে আপলোড করে টাকা রোজগার করবেন বলে হুমকি দেন। নির্যাতিতা বলেন, “আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা বিয়ের পর থেকে পণ নিয়ে জোরাজুরি করতে শুরু করে। পণের টাকা পাবেন না বুঝতে পেরে তারা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের আমায় ধর্ষণ করতে বলেন এবং ওই নির্যাতনের ভিডিয়ো করে ইউটিউবে আপলোড করেন। পাঁচদিন আগেও আমায় ধর্ষণ করা হয়। এরপরই আমি পালিয়ে নিজের বাড়িতে আসি এবং পুলিশে অভিযোগ জানাই।”
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে হরিয়ানায় অভিযুক্তের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। এরপর থেকেই তাঁকে হেনস্থা করা শুরু হয় পণের জন্য। এর আগেও তিনি একবার বাপের বাড়ি পালিয়ে এসেছিলেন, সেই সময় তাঁর স্বামী বুঝিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরই নির্যাতিতার স্বামী তাঁর আত্মীয়দের বাড়িতে ডাকেন এবং তাঁর সামনেই গণধর্ষণ করতে বলেন। গোটা ঘটনাটি তিনি মোবাইলে রেকর্ড করেন। ইতিমধ্যে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। ইউটিউবে ধর্ষণের ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Heatwave in India: করোনার ভীতিকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহের দাপট, কেন ঘুম উড়েছে বিশেষজ্ঞদের?
আরও পড়ুন: Narendra Modi Mamata Banerjee: বিচারপতিদের আলোচনা সভা, আজ এক মঞ্চে মোদী-মমতা