Heatwave in India: করোনার ভীতিকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহের দাপট, কেন ঘুম উড়েছে বিশেষজ্ঞদের?
Heatwave in India: অত্যাধিক গরমের নেপথ্যে যে জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী, তা সকলের জানা। তবে জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উচ্চ তাপমাত্রার থেকেও বেশি চিন্তার বিষয় হল তাপপ্রবাহ।
নয়া দিল্লি: দিনের বেলায় বাড়ি থেকে বাইরে পা রাখার জো নেই। রাস্তাঘাটে বেরলেই রোদের তেজে জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে গোটা শরীর। ঘরের ভিতরেও অনুভব হচ্ছে গরম হাওয়ার হলকা। তাপপ্রবাহের (Heatwave) জেরে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শুধু আমাদের রাজ্য নয়, দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই বইছে তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া দফতর (IMD) সূত্রে জানানো হয়েছে, পশ্চিমী অংশে নিম্নচাপের প্রভাবে বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি রাজ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও আগামী ৫ দিন জারি থাকবে তাপপ্রবাহ। ইতিমধ্যেই রাজস্থান, পঞ্জাব, দিল্লির মতো একাধিক জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রির গণ্ডি পার করেছে। এই চরম আবহাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে একটাই, তাপপ্রবাহের কারণ কী?
উনুনের উপরে বসে একাধিক রাজ্য:
এপ্রিলের গরমে দীর্ঘ ৭২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে রাজধানী। বর্তমানে দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পার করেছে। বিগত ৬ সপ্তাহ ধরে স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ ডিগ্রি বেশি থাকছে তাপমাত্রা। একই পরিস্থিতি রাজস্থানেও। শুক্রবার ঢোলপুরের তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি পার করে। যোধপুর ও বিকানেরের তাপমাত্রাও আগামী কয়েকদিনে ৪৫ থেকে ৪৭ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গরমে হাঁসফাঁস করছে পঞ্জাবও।
দীর্ঘায়িত হচ্ছে তাপপ্রবাহ:
অত্যাধিক গরমের নেপথ্যে যে জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী, তা সকলের জানা। তবে জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উচ্চ তাপমাত্রার থেকেও বেশি চিন্তার বিষয় হল তাপপ্রবাহ। বার্কেলি আর্থের প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ রবার্ট রোড বলেন, “বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তানে যে তাপপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে, তার বৈশিষ্ট্য সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙা নয়, বরং কতক্ষণ অবধি স্থায়ী হচ্ছে তাপপ্রবাহ, তা লক্ষ্যণীয়। বিগত ৬ সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে। গরম ওভেনে ঢুকিয়ে দিলে যা হয়, বিশ্বের এই প্রান্তটির অবস্থা কার্যত সেইরকমই হয়ে গিয়েছে।”
করোনার থেকেও চিন্তা বাড়ছে তাপপ্রবাহ নিয়ে:
তাপপ্রবাহ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের কথায়, করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সম্ভাব্য চতুর্থ ঢেউ নিয়ে যে ভয় সৃষ্টি হয়েছে, তার থেকেও বেশি উদ্বেগজনক তাপপ্রবাহ। অত্য়াধিক গরম ও তাপপ্রবাহের জেরে একাধিক স্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দিয়েছে। বহু মানুষই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এছাড়াও হৃৎরোগ সংক্রান্ত নানা সমস্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া দফতর ও চিকিৎসকেরা সেই কারণে ক্রমাগত সরাসরি সূর্যের আলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। যে সময়ে তাপপ্রবাহ চলছে, তখন প্রয়োজন ছাড়া ঘরেই থাকা, নিয়মিত জল, ওআরএস খেতে বলেছেন। যাঁরা বাইরে বের হচ্ছেন, তাঁদের ঢিলে-ঢালা ও হালকা রঙের সুতির জামা পরতে এবং মাথা স্কার্ফ বা টুপি দিয়ে ঢেকে ও চোখে রোদচশমা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।