গুয়াহাটি : গত বছর নাগাল্যান্ডের ঘটনা ঘিরে আফস্পা (AFSPA) নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। নাগাল্যান্ডে সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে গ্রামবাসীদের মৃত্য়ুতে উত্তর-পূর্ব ভারতে রাজ্যগুলি থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে পুনরায় সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। এই একই দাবিতে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। শনিবার পর অসমের একটি অনুষ্ঠানে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইন বা আফস্পা প্রত্যাহারের আভাস দেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই অনুযায়ী, এদিন তিনি বলেছেন, দেশের তিন প্রতিরক্ষা বাহিনীই চেয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে শীঘ্রই আফস্পা প্রত্যাহার করা হোক।
শনিবার অসমের গুয়াহাটিতে ১৯৭১ এর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রবীণ যোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়ার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের আভাস দেন। তিনি এদিন বলেছেন, “মণিপুর ও নাগাল্যান্ডের ১৫ টি পুলিশ স্টেশন থেকে আফস্পাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেইসব এলাকায় শান্তি স্থাপন হওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।” তাঁর আরও সংযোজন, “গত ৩-৪ বছর ধরে উত্তর-পূর্বের রাজ্য়গুলিতে আফস্পা প্রত্যাহারের কাজ চলছে। এটা কোনও ছোটো বিষয় নয়। সম্প্রতি অসমের ২৩ টি জেলা থেকে সম্পূর্ণরূপে আফস্পা প্রত্যাহার করা হয়েছে।” গত ৩১ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন যে, আফস্পার আওতায় নাগাল্যান্ড, মণিপুর ও অসমের বিক্ষুব্ধ অঞ্চল কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
প্রসঙ্গত, রাজনাথ সিংয়ের মুখে আফস্পা প্রত্যাহারের কথা এর আগেও শোনা গিয়েছিল। ২০১৫ সালে তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন রাজনাথ সিং। সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়ে তিনি বলেছিলেন যে, উপত্যকায় পরিস্থিতির উন্নতি হলে আফস্পা প্রত্যাহার করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, কাশ্মীর উপত্যকায় ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে আফস্পা কার্যকর করা হয়। জম্মুতে ২০০০ সালের অগাস্ট মাসে বিদ্রোহ দমন করতে এই আইন কার্যকর করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : PM Modi’s Visit to Jammu : মোদীর সফরের আগে ‘নাশকতার ছক’! উপত্যকায় পরিস্থিতি পরিদর্শনে NIA প্রধান