Operation Sindoor: এবার কি আরও বড় পদক্ষেপ? প্রত্যাঘাতের পরেই তিন সেনাকর্তার সঙ্গে বৈঠক রাজনাথের
Rajnath Singh: এদিন সকাল ১০টাতেই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে একটি প্রেস বিবৃতি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তরফে। মধ্য়রাতে হামলার পর বিশেষ কিছু জনমানসে প্রকাশ্যে আনেনি কেন্দ্রীয় সরকার।

নয়াদিল্লি: এখনও কি তবে প্রত্যাঘাত শেষ হয়নি নাকি আরও বড় হামলা চালানোর জন্য তৈরি হচ্ছে ভারত? বুধবার মধ্যরাতে চালানো প্রত্যাঘাতের পর দেশের বিভিন্ন মহলেই ঘুরে বেড়াচ্ছে এই সকল প্রশ্ন। যা আবার আরও এক ধাপ উস্কে দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বৈঠক।
সূত্রের খবর, অপারেশন সিঁদুর শেষ হতেই ভারতের তিন সেনা কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ঠিক কী নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা চলেছে, সেই নিয়ে কোনও তথ্য না মেলেনি। তবে ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, ভারতের প্রত্যাঘাত, পাকিস্তান জবাব দিচ্ছে কি না, সব নিয়েই একটা কৌশল তৈরিতেই তিন সেনা কর্তার সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
এমনকি, এদিন সকাল ১০টাতেই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে একটি প্রেস বিবৃতি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তরফে। মধ্য়রাতে হামলার পর বিশেষ কিছু জনমানসে প্রকাশ্যে আনেনি কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু জানানো হয়, পাকিস্তানে এবং পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের মোট ৯টি জায়গায় মূলত জঙ্গি পরিকাঠামোগুলিকে লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ চালানো হয়েছে।
পাকিস্তান তরফে জানা গিয়েছে, তাদের কাশ্মীরের কোটলি ও মুজাফফরাবাদ এবং পঞ্জাব প্রদেশের বহাওয়ালপুরের আহমেদপুরে প্রত্যাঘাত এনেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। কিন্তু বেছে এই দু’টি প্রদেশকেই কেন ‘টার্গেট’ করল ভারত? সংবাদসংস্থা ANI সূত্রে খবর, পঞ্জাব প্রদেশের যে সকল এলাকায় হামলা চালিয়েছে ভারত, সেখানেই দশক ধরে শিকড় গজিয়েছে লস্কর-ই-তৈবা। প্রত্যাঘাতে সেই শিকড়ই ছিঁড়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
পঞ্জাব প্রদেশের বাহওয়ালপুরেই ছিল লস্কর-ই-তৈবার নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সেখান থেকেই ভারত-বিরোধী ‘মুজাহিদীনদের’ তৈরি করত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। ২০০০ সাল থেকে ওই এলাকা ডেরা বেঁধেছিল তারা। এবার সেখানেই হামলা চালাল ভারতীয় সেনা।

