France President Visit: দুর্গ সফর, হাওয়া মহলে স্পেশাল চা, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌরমন্দিরেও যাবেন ম্যাক্রঁ

Republic Day 2024: যন্তর মন্তর থেকেই একসঙ্গে রোড শো করে সঙ্গনী গেট অবধি যাবেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ ও প্রধানমন্ত্রী মোদী। মাঝ পথে হাওয়া মহলও দেখবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, হাওয়া মহলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জয়পুরের স্পেশাল মশলা চা পান করবেন। সেখানেই তিনি জয়পুরের বিখ্যাত নীল রঙের মাটির জিনিসপত্র কিনবেন, যার দাম মেটাবেন ভিম ইউপিআই (BHIM UPI) ব্যবহার করে। 

France President Visit: দুর্গ সফর, হাওয়া মহলে স্পেশাল চা, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌরমন্দিরেও যাবেন ম্যাক্রঁ
বৃহত্তম মানমন্দির পরিদর্শনে মোদী ও ম্যাক্রঁ।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 25, 2024 | 7:21 PM

নয়া দিল্লি: ভারতে আসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ (Emmanuel Macron)। প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তিনি। প্রজাতন্ত্র দিবসের একদিন আগে, বৃহস্পতিবারই জয়পুরে অবতরণ করবে তাঁর বিমান। সেখান থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) সঙ্গে হেরিটেজ ট্যুরে বের হবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রোড-শোতেও যোগ দেবেন তিনি।

জানা গিয়েছে, এ দিন সকালেই রাজস্থানের জয়পুরে এসে পৌঁছবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ। সেখান থেকে তিনি প্রথমে আমের দুর্গে যাবেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাতে সেখানে আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। আমের ফোর্ট থেকে  ইউনেসকোর তরফে ঘোষিত হেরিটেজ সাইট যন্তর-মন্তরে যাবেন ম্যাক্রঁ। যন্তর মন্তরেই তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে হেরিটেজ সাইট সৌরমন্দিরটি পরিদর্শন করবেন দুজনে।

জয়পুরের বিখ্যাত যন্তর মন্তর সৌরমন্দিরটিকে স্বাধীনতার কয়েক শতাব্দী আগের ভারতের দক্ষতা এবং বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির একটি নিদর্শন বলে মনে করা হয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মহারাজ সাওয়াল জয় সিং। ২০১০ সালের জুলাইয়ে এটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট তকমা দেয় ইউনেস্কো। এটি আঠারটি যন্ত্রের একটি সেট এবং এটি বিশ্বের বৃহত্তম পাথরের মানমন্দির। এর মধ্যে অনেক যন্ত্রপাতি রয়েছে। এটিকে ‘বৃহৎ সম্রাট যন্ত্র’ বলা হয়।

উত্তর-দক্ষিণ দিক করে স্থাপিত ত্রিভুজাকার প্রাচীরের উভয় পাশে সমতল রয়েছে। প্রাচীরের ছায়া সেটির উপর সমান সময়ের ব্যবধানে সমান দূরত্বে চলে। এটি স্থানীয় সময় ক্রমান্বয়ে সরতে থাকে। পশ্চিম এবং পূর্ব পাদগুলিকে যথাক্রমে সকাল এবং বিকেলের জন্য ৬ ঘণ্টার প্রতিটি উপ-বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। আবার প্রতি ঘণ্টাকে চারটি ১৫ মিনিটের ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যা পাঁচ মিনিট এবং এক মিনিটের ভাগে বিভক্ত। প্রতিটি এক মিনিটের বিভাগকে তিনটি বিভাগে অর্থাৎ ২০ সেকেন্ডে ভাগ করা হয়েছে।

সান ডায়াল, গোলার্ধে সূর্যের অবস্থান নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি দুটি অংশে তৈরি করা হয়েছে- একটিতে যখন সূর্য উত্তর গোলার্ধে থাকে (মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর) এবং অন্যটি দক্ষিণ গোলার্ধে (সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ) সূর্যকে তুলে ধরে। আবার রাশিবলয়ের মাধ্যমে অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ পরিমাপ হয়। রাশিচক্রের ১২টি চিহ্নের প্রতিনিধিত্ব করে এমন ১২টি যন্ত্র রয়েছে। এই যন্ত্রগুলি উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্যের কৌণিক অবস্থানের ভিত্তিতে স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম এই সান ডায়াল নির্ভুল স্থানীয় সময় দেয়। স্থানীয় সময় ২ সেকেন্ডের বেশি হেরফের হয় না।  তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এই বিখ্যাত সৌরমন্দির দর্শনে যাবেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ।

যন্তর মন্তর থেকেই একসঙ্গে রোড শো করে সঙ্গনী গেট অবধি যাবেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ ও প্রধানমন্ত্রী মোদী। মাঝ পথে হাওয়া মহলও দেখবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, হাওয়া মহলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জয়পুরের স্পেশাল মশলা চা পান করবেন। সেখানেই তিনি জয়পুরের বিখ্যাত নীল রঙের মাটির জিনিসপত্র কিনবেন, যার দাম মেটাবেন ভিম ইউপিআই (BHIM UPI) ব্যবহার করে।

রাতে রামবাগ প্যালেসে ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর জন্য বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসেও প্রধান অতিথি হিসাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়, তিনি আসতে পারবেন না। এরপরই শেষ মুহূর্তে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং তিনি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেন। এর আগে গত বছর ফ্রান্সের বাস্তিল দিবসে অতিথি হিসাবে সামিল হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

জানা গিয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে সামিল হওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও সারবেন ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ। রাফাল ফাইটার জেট ও স্করপিওন সাবমেরিন কেনার চুক্তি নিয়ে দুই রাষ্ট্র প্রধানের মধ্য়ে আলোচনা হতে পারে।