নয়া দিল্লি: ক্ষত এখনও দগদগে। এই ভয়ঙ্কর স্মৃতি মুছবে না কখনও। ‘তিলোত্তমা’কে হারিয়ে নিঃস্ব তাঁর মা-বাবা। ঘটনার পরের দিন হাসপাতালে গিয়ে কী অবস্থায় দেখেছিলেন মেয়েকে, এবার সেই দৃশ্যই বর্ণনা করলেন তিলোত্তমার মা-বাবা। একইসঙ্গে জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতাল থেকেই উদ্ধার হয় তিলোত্তমার দেহ। চারতলার সেমিনার হলে পড়েছিল তিলোত্তমার দেহ। কী অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলেন একমাত্র কন্যার দেহ, সেই মুহূর্তের বর্ণনা দিতে দিয়েই গলা ধরে আসে তিলোত্তমার বাবার।
তিনি বলেন, “১১টা নাগাদ আমাদের কাছে ফোন আসে। বলা হয় ও (তিলোত্তমা) আত্মহত্যা করেছে। ১২টার সময় আমরা হাসপাতালে পৌঁছাই। কিন্তু তখনও দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি।”
ওই মুহূর্তের বর্ণনা দিয়ে তিলোত্তমার বাবা বলেন, “শুধু আমি জানি যে ওঁর দেহটা দেখার পর আমার ওপর দিয়ে কী যাচ্ছিল।”। এই টুকু বলেই গলা ধরে যায় তিলোত্তমার বাবার। একটু শুধু বলেন, “আমরা সব হারিয়েছি। কিচ্ছু নেই আমাদের আর। আমরা শুধু সুবিচার চাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমার মেয়েকে যেখানে পাঠিয়েছিলাম শিক্ষা, চাকরির জন্য, তারা ওঁকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা আমাদের মেয়েদের স্কুল-কলেজে পাঠাই। লোহার গেটের ওপারে কী হচ্ছে, তা আমরা জানতে পারি না। হাসপাতালের ক্ষেত্রেও একই বিষয়। ওখানে ওঁ কাজ করত।”
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তিলোত্তমার বাবা। বলেন, “আগে ওঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) উপরে ভরসা ছিল। কিন্তু এখন আর নেই। ওঁ বিচার চাইছেন, কীসের জন্য? কিচ্ছু করছেন না…”। পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন তিলোত্তমার মা। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব প্রকল্প, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সব ভাঁওতা। যারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চান, তারা দয়া করে একবার দেখুন আপনার ঘরের লক্ষ্মী সুরক্ষিত রয়েছে তো?”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)