
নয়া দিল্লি: “শেষ দেখে ছাড়ব। প্রয়োজনে রাজধানীর রাস্তায় ধরনায় বসব।” দিল্লিতে সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে কার্যত এ ভাষাতেই হুঙ্কার দিতে দেখা যায় তিলোত্তমার মা-বাবাকে। সিবিআইয়ের তদন্ত যে তাঁরা খুশি নন এদিন ফের একবার সে কথা বলতে দেখা যায় তাঁদের। কিন্তু, সিবিআই বলছে ধৈর্য ধরার কথা। এদিন সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে তিলোত্তমার বাবা বলেন, “আমরা সিবিআই তদন্তে খুশি নই, সেটা বলার জন্যই এতদূর এসেছিলাম। ওনারা বললেন, আমরা তদন্ত করছি, ধৈর্য ধরুন। আরও কিছুদিন দেখি তারপর দিল্লিতে বা অন্য কোথাও ধরনা করার কথা ভাবব। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।”
প্রসঙ্গত, আরজি করে তিলোত্তমার খুন-ধর্ষণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই সিভিক ভলান্টিয়র সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদহ আদালত। আজীবন কারাবাসের সাজাও শোনানো হয়েছে। কিন্তু কেন ফাঁসির সাজা নয় তা নিয়ে চাপানউতোর চলছে। অন্যদিকে একটা বড় অংশের মানুষের মত, এ ঘটনার শুধু সঞ্জয় রায়ের একার কাজ নয়। পিছনে রয়েছে আরও অনেক হাত। সে কারণেই শুরুতেই প্রশ্নের মুখে পড়ে কলকাতা পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া। সঞ্জয় ছাড়া আর কারও খোঁজ না মেলায় প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআইয়ের ভূমিকাও।
কিন্তু সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এদিনও ফের ক্ষোভের পাহাড় উগরে দেন তিলোত্তমার বাবা। তাঁর তিনি বলছেন, “সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে, কিন্তু সিবিআই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না।” ক্ষোভ উগরে দিয়েছে চিকিৎসকদের যৌথ প্ল্যাটফর্মও। জেপিডি-র সদস্য তথা চিকিৎসক তমোনাশ চৌধুরী বলছেন, “আমরা মনে করছি প্রকৃত দোষীরা এখনো আড়ালে রয়েছে। তথ্য প্রমাণ লোপাটের সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁরা এখনও তদন্তের বাইরে রয়েছে। সিবিআই আমাদের জানিয়েছে, সব দোষীরা তদন্তের আওতায় আসবে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব। লড়াই চালিয়ে যাব। ন্যায়ের দাবিতে আমরা দিল্লির রাস্তাতেই থাকব।”