নয়া দিল্লি: চলতি মাসের শুরুতেই শুনানি চলাকালীনই বিস্ফোরণে (Blast) কেঁপে উঠেছিল রোহিনী কোর্ট চত্বর (Rohini Court)। আদালত কক্ষের ভিতরেই বিস্ফোরণ হয়েছিল আইইডি বিস্ফোরকের ডিটোনেটরের (IED Detonator Blast)। তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) গ্রেফতার করেছিল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ওর্গানাইজেশন(Defence Research and Development Organisation)-র এক বিজ্ঞানীকে। জেলের ভিতরেই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা (Suicide Attempt) করলেন। রবিবার পুলিশের তরফে জানানো হয়, ওই বিজ্ঞানী জেলেই হাত ধোয়ার সাবান খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
ডিআরডিও(DRDO)-র ওই বিজ্ঞানীর নাম ভারত ভূষণ কাতারিয়া (৪৭)। গত সপ্তাহেই শুক্রবার তাঁকে আটক করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল(Delhi Police Special Cell)। জিজ্ঞাসাবাদের পর সেই দিনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, প্রতিবেশীর উপর বদলা নিতেই তিনি আদালতের ভিতরে টিফিন বক্স বোমা (Tiffin Box Bomb) রেখেছিলেন।
ওই বিজ্ঞানীর প্রতিবেশী দিল্লির রোহিনী আদালতেরই আইনজীবী। ভারত ভূষণের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের বিবাদ, একাধিক মামলাও দায়ের করেছিলেন ডিআরডিও-র গবেষকের বিরুদ্ধে। তাই বদলা নিতেই ওই আইনজীবীকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা বানান ডিআরডিও-র বিজ্ঞানী। গত ৯ ডিসেম্বর তিনি আদালতের ভিতরে একটি কম শক্তিশালী টিফিন বক্স বোমা রেখে আসেন। পরিকল্পনামাফিক বিস্ফোরণ হলেও, আইইডি বিস্ফোরকটি সঠিকভাবে তৈরি না হওয়ায়, কেবল ডিটোনেটরটিই বিস্ফোরণ হয়। ওই বিস্ফোরণে কারোর মৃত্যু হয়নি, গুরুতর জখম হন এক কন্সটেবল।
তদন্তে নেমেই গত শুক্রবার ডিআরডিও-র বিজ্ঞানী ভারত ভূষণ কাতারিয়াকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। এরপর শনিবার রাত্রেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ভারত ভূষণ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হেফাজতে থাকাকালীনই শনিবার রাতে শৌচাগারে গিয়ে তরল হাত ধোয়ার সাবান পান করেন ভারত ভূষণ। অনেকক্ষণ সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি বাইরে না আসায়, শৌচাগারের ভিতরে গেলে দেখা যায় তিনি জ্ঞানহীন অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন। পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা প্রশ্ন করলে তিনি জানান, পেটে ব্যাথা ও বমি হচ্ছে।
সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে দিল্লির এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে পুলিশরা প্রশ্ন করলে ভারত ভূষণ জানান, তিনি কিছুই পান করেননি, কিন্তু চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানা যায়, তাঁর পেট থেকে তরল সাবান বের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, বর্তমানে স্থিতিশীলই রয়েছেন ডিআরডিও-র ওই বিজ্ঞানী। আজই চিকিৎসকরা তাঁকে ছেড়ে দিতে পারেন। পুলিশের অভিযেগ, প্রথম থেকেই তদন্তে অসহযোগিতা করছিলেন ওই বিজ্ঞানী। তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করেছিলেন তিনি। জেরা এড়ানোর জন্য তিনি নানা চেষ্টা করেছেন।