Opposition’s Stand in Parliament: শুধু ৪ দলকেই আমন্ত্রণ কেন? কেন্দ্র অচলাবস্থা কাটাতে চাইলেও সংসদে ‘কাঁটা’ বিরোধীরাই!

Opposition's Stand on 12 MPs Suspension: বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খারগে কেন্দ্রের আমন্ত্রণের জবাবে প্রহ্লাদ জোশীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার বিষয়ে সমস্ত বিরোধীরা ঐকমত প্রকাশ করেছে। তাই বৈঠকে সবাইকেই আমন্ত্রণ করা উচিত ছিল সরকারের। কেবলমাত্র চারজনকে আমন্ত্রণ "অনুচিত ও দুঃখজনক" বলেই তিনি জানান।

Opposition's Stand in Parliament: শুধু ৪ দলকেই আমন্ত্রণ কেন? কেন্দ্র অচলাবস্থা কাটাতে চাইলেও সংসদে 'কাঁটা' বিরোধীরাই!
সরকারের বিরুদ্ধে একজোট বিরোধীরা। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 20, 2021 | 7:31 AM

নয়া দিল্লি: সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বলেছিলেন, “কেন্দ্র সবরনের আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে অধিবেশন শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাযুক্ত হওয়া উচিত”। তবে কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতিই সার। বাদল অধিবেশনে (Monsoon Session of Parliament) সংসদে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে শীতকালীন অধিবেশনে (Winter Session of Parliament) রাজ্যসভার ১২ সাংসদকে সাসপেন্ড করার পর থেকেই বিরোধীদের হই-হট্টগোল ও বিক্ষোভে রোজই পন্ড হচ্ছে সংসদ অধিবেশন। বিরোধী দলগুলির সঙ্গে এই বিরোধ মেটাতে রবিবারই কেন্দ্রের তরফে চার বিরোধী দলকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। সোমবার সকাল দশটায় চার বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী(Prahlad Joshi)-র। তবে কংগ্রেস, তৃণমূলের কঠোর অবস্থানে, সেই বৈঠক বিফল হতে পারে বলেই আন্দাজ।

শুধু কংগ্রেস(Congress) ও তৃণমূল(TMC) নয়, সিপিআই(এম), শিবসেনা, ডিএমকে সহ একাধিক দলের সাংসদদের বাদল অধিবেশন চলাকালীন রাজ্যসভায় বিশৃঙ্খল আচরণ করার অপরাধে শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতে সাসপেন্ড করেছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। এরপর থেকেই বিরোধীরা বিক্ষোভ-ধর্ণায় বসে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেই প্রথম দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রী গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্ণায় বসেন। তাদের দাবি, সাসপেনষন না তোলা অবধি তারা ধর্ণা জারি রাখবেন। অধিবেশনের শেষদিন অবধি তারা ধর্ণা জারি রাখতে প্রস্তুত। তৃণমূলের সঙ্গে বাকি বিরোধী দলগুলিও সুর মেলায়। প্রতিদিনই বিরোধী দলগুলির সাংসদদরা ধর্ণায় যোগ দিচ্ছেন। একইসঙ্গে সংসদের ভিতরেও ১২ সাংসদদের বরখাস্ত করার নির্দেশ প্রত্য়াহারের দাবিতে সরব হচ্ছেন তারা।

বিরোধীদের লাগাতার বিক্ষোভের কারণে সরাসরি প্রভাব পড়ছে অধিবেশনে। ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া শীতকালীন অধিবেশনে এখনও অবধি কাজের হার মাত্র ৩৭ শতাংশ। সংসদ সচল রাখার জন্য গত সপ্তাহেও বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। বিরোধীরা যাতে অধিবেশন নিয়ে কোনও এক বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সহমত হয়, সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনার জন্যই শুক্রবার রাজ্যসভা মুলতুবি করে দেন। বিরোধিতা কাটিয়ে দ্রুত যাতে সংসদ সচল করা যায়, সেই লক্ষ্যেই রবিবার ৪ বিরোধী দলের নেতাদের আজ অধিবেশনের শুরুতে আলোচনার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খারগে কেন্দ্রের আমন্ত্রণের জবাবে প্রহ্লাদ জোশীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার বিষয়ে সমস্ত বিরোধীরা ঐকমত প্রকাশ করেছে। তাই বৈঠকে সবাইকেই আমন্ত্রণ করা উচিত ছিল সরকারের। কেবলমাত্র চারজনকে আমন্ত্রণ “অনুচিত ও দুঃখজনক” বলেই তিনি জানান।

অন্যদিকে, তৃণমূলের রাজ্য়সভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনও টুইটে লেখেন,  “সোমবার সকালে সরকারের নতুন স্টান্ট! যারা নিজেরাই চান না অধিবেশন চলুক। কেন্দ্রের তরফে যে চারটি বিরোধী দলের  ১২ জন রাজ্যসভার সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, সেই দলগুলির নেতাদের ডেকেছে। কিন্তু অন্যান্য ১০ টি বিরোধী দলকে ডাকেনি। এ এক ব্যর্থ প্রচেষ্টা। সমস্ত বিরোধীদের অবস্থান স্পষ্ট, প্রথমে সাংসদদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হোক।”

বিরোধী দল সূত্রে খবর, তারা সরকারের আমন্ত্রণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে সংসদে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খারগের ঘরে একটি বৈঠক করবেন। এদিকে, বিরোধীরা জানিয়ে রেখেছে যে ১২ জন সাংসদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ জারি থাকবে। সব বিরোধী দলকে ডাকা না হলে আগামিকাল সরকারের সঙ্গে বৈঠকে তাদের যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই বিরোধী দলগুলির সূত্রে খবর।

কেন্দ্রের তরফে এ কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে, বরখাস্ত হওয়া ১২ সাংসদ আগের অধিবেশনে বিশৃঙ্খল আচরণ করেছিলেন, অর্থাৎ তাদের এই অধিবেশনে সাসপেন্ড করা যায় না। তবে ১২ সাংসদের সাসপেনশন তোলার জন্য চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু একে একে যে ক্ষমা চাওয়ার শর্ত রেখেছেন, তা প্রত্যাহার করতে রাজি নয় সরকার। এদিকে, বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেরও সাফ বার্তা , “রাজ্যসভায় বরখাস্ত হওয়া সাংসদরা একে একে ক্ষমা চান, এটাই চান ওরা। কিন্তু ওনারা এইধরনের কোনও কিছুই করবেন না।”

আরও পড়ুন: AIIMS Chief on Omicron: ‘যেকোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’, ব্রিটেনে ওমিক্রনের দাপট দেখে সতর্কবার্তা এইমস প্রধানের