ঘুরতে যেতে হাতে রাখতে হবে না করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট! কেন্দ্রের নয়া উদ্যোগে স্বস্তিতে যাত্রীরা

যেভাবে কো-উইন (CO-WIN) অ্যাপে টিকাকরণ সার্টিফিকেট যুক্ত করা থাকে,  এ বার থেকে একইভাবে কো-উইন অ্যাপে লিঙ্ক করা থাকবে করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও।

ঘুরতে যেতে হাতে রাখতে হবে না করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট! কেন্দ্রের নয়া উদ্যোগে স্বস্তিতে যাত্রীরা
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2021 | 9:20 PM

নয়া দিল্লি: করোনাকালে বদলে গিয়েছে আমাদের গোটা জীবনযাত্রাই। মাস্ক, স্যানিটাইজ়ারের সঙ্গে ভিন জেলা, রাজ্য বা দেশে যাওয়ার জন্য ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট (COVID Vaccine Certificate) বা করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টও (COVID Negative Report) নিজের কাছে রাখা বাধ্যতামূলক। যারা এখনও করোনা টিকার দুটি ডোজ় পাননি, তাদের কোথাও যাওয়ার জন্য একমাত্র ভরসা হল আরটি-পিসিআর (RT-PCR Test) নেগেটিভ রিপোর্টই। তবে যাত্রীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে এ বার নয়া নিয়ম আনছে কেন্দ্র। এ বার থেকে সঙ্গে করে বয়ে বেড়াতে হবে না করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট। প্রয়োজন অনুসারে এক ক্লিকেই দেখানো যাবে সেই রিপোর্ট।

যেভাবে কো-উইন (Co-WIN) অ্যাপে টিকাকরণ সার্টিফিকেট যুক্ত করা থাকে,  এ বার থেকে একইভাবে কো-উইন অ্যাপে লিঙ্ক করা থাকবে করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও। জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রধান আরএস শর্মা এ দিন জানান, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন পর্যটক বা যাত্রীরা। সরকারি সিলমোহর থাকায় তারা যে ঠিক জায়গা থেকেই করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন এবং রিপোর্টও ভুয়ো নয়, তা জানা যাবে।

আরএস শর্মা বলেন, “আইসিএমআরের সহযোগিতায় আমরা এমন একটি সিস্টেম তৈরি করছি, যেখানে কো-উইন অ্যাপে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটের মতোই আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্টও ডাউনলোড করা যাবে। এরফলে কোনও কাগজের রিপোর্টের বদলে ডিজিটাল রিপোর্ট দেখিয়ে সহজেই যাত্রা করা যাবে।”

যেকোনও জায়গায় ভ্রমণের জন্যই যাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে করানো আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হয়। দেশের মধ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই ডিজিটাল রিপোর্ট নিয়ে কোনও সমস্যা না থাকলেও  বহু দেশই এখনও অবধি কো-উইন অ্যাপকে ভ্য়াকসিন পাসপোর্ট হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে সেই অ্যাপে দেখানো রিপোর্টকেও কতটা বৈধ বলে গণ্য করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই।

এই বিষয়ে জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, বহুপাক্ষিক চুক্তির প্রচেষ্টা করী হয়েছিল যেখানে সমস্ত দেশের ডিজিটাল ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটকেই ডিজিটাল পাসপোর্ট হিসাবে গণ্য করা হবে। কিন্তু সেই চুক্তি ঘিরে এখনও জট কাটেনি। বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যার প্রধান শর্তই হবে দুই দেশ একে অপরের ডিজিটাল ভ্য়াকসিন সার্টিফিকেটকে স্বীকৃতি দেবে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে এই বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।

ডিজিটাল সার্টিফিকেটকে স্বীকৃতি দেওয়ার সপক্ষে কেন্দ্রীয় অসামরিক উড়ানমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, “সার্টিফিকেটে দেওয়া কিউআর কোড এনক্রিপটেড বা সুরক্ষিত হয়, সুতরাং তথ্য চুরি বা বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে, একটি পাসপোর্টে যে তথ্যগুলির প্রয়েজন হয়, তার সবকিছুই ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে রয়েছে। তাই সমস্য়া হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।”

জুলাই মাসেই ভ্যাকসিন পাসপোর্ট নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্দেশিকায় বিপাকে পড়েছিলেন কোভিশিল্ডের গ্রাহকরা। পরে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অস্ট্রিয়া, জার্মানি, গ্রিস, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, এস্টোনিয়া, স্পেনের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের আটটি দেশ এবং সুইজ়ারল্যান্ড কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি দেয়।  আরও পড়ুন: ‘লাল কার্পেট বিছিয়ে স্বাগত জানাব দিদিকে’, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যকে খোঁচা হিমন্তের