Sansad TV: সংসদ টিভিকে ‘ব্লক’ করল ইউটিউব, কেন্দ্র জানাল, ‘হ্যাক হয়েছে’
Sansad TV: মঙ্গলবার সংসদের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১টায় সংসদ টিভির ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করা হয়।
নয়া দিল্লি: সংসদ টিভিকে (Sansad TV) ব্লক করল ইউটিউব (YouTube)। ইউটিউবের নীতি লঙ্ঘনের কারণে ব্লক করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে সংসদ টিভির অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, সোমবার রাত ১টা নাগাদ সংসদ টিভির যে ইউটিউব চ্যানেল তা হ্যাক করা হয়। এই চ্যানেলের নামও বদল করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা বাদে বিষয়টি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়। এরপরই মঙ্গলবার সংসদের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১টায় সংসদ টিভির ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করা হয়। চ্যানেলের নাম বদলে এথেরিয়াম (Ethereum) করে দেয় হ্যাকাররা। যদিও সংসদ টিভির সোশাল মিডিয়া টিম তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে সংসদ টিভির চ্যানেলটি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়। তবে আপাতত ইউটিউবে চ্যানেলটি দেখা যাচ্ছে না। সংসদ টিভিতে লোকসভা ও রাজ্যসভার বিভিন্ন কার্যক্রম সরাসরি দেখানো হয়। তারই ইউটিউব চ্যানেল হ্যাকের ঘটনায় আরও একবার সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গুগলকে বিষয়টি জানিয়েওছে সংসদ টিভি কর্তৃপক্ষ।
Sansad Television says “its YouTube channel-Sansad TV was compromised by some scamsters on Feb 15. YouTube is addressing the security threat” pic.twitter.com/UiTtpJuJMQ
— ANI (@ANI) February 15, 2022
ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (CERT-In), যারা ভারতে সাইবার নিরাপত্তার নোডাল এজেন্সি, তারাও এই ঘটনা জানিয়েছে। সংসদ টিভিকে তারা সতর্কও করেছে বলে সংসদ টিভির বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও ইউটিউব সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে সমস্যা সমাধানের কাজ শুরু করেছে। খুব তাড়াতাড়ি এই ইউটিউব চ্যানেলটি ‘রিস্টোর’ করা হবে।
ইউটিউবের গাইডলাইন কী
প্রত্যেকটি চ্যানেলের জন্য ইউটিউবের নির্দিষ্ট গাইডলাইন মানা অত্যাবশ্যক। না হলে যে কোনও সময়ই ব্লক করে দেওয়া হতে পারে চ্যানেলটি। ইউটিউবের কিছু কপিরাইট স্ট্রাইক যেমন আছে, একইভাবে কিছু ‘কনটেন্ট’ যা এই প্ল্যাটফর্মে কোনওভাবেই দেখানো যায় না। এই নিয়ম সবরকমের ভিডিয়ো, ভিডিয়ো কনটেন্ট, লিঙ্ক ও থাম্বনেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। এই নিয়ম সকলের জন্যই একরকম বলে দাবি করা হয় ইউটিউবের তরফে। এক্ষেত্রে মেশিন লার্নিংয়ের পাশাপাশি মানুষের রিভিউ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।