হাত, ঘাসফুলের পর এবার পদ্মে শান্তিপুরের বিধায়ক

দিনকয়েক আগেই যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেছিলেন, আগামী সময়ে কমপক্ষে ৪০ জন তৃণমূলের বিধায়ক ও ৭-৮ জন সাংসদ বিজেপিতে যোগ দেবেন। তবে কি সেটাই সত্যি হতে চলেছে?

হাত, ঘাসফুলের পর এবার পদ্মে শান্তিপুরের বিধায়ক
বিজেপিতে যোগ দিলেন শান্তিপুরের বিধায়ক- নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jan 20, 2021 | 5:49 PM

নয়া দিল্লি: শাসকদলের আরও এক বিধায়ক যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। এবার নদিয়ার শান্তিপুর। সূত্রের খবর, শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য এদিন বিজেপিতে যোগ দেবেন। রাজধানীতে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপি মূল কার্যালয়েই এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার বিকেলেই হবে এই যোগদান। এর ফলে বিগত দু-মাসে নানা দলের ১০ বিধায়ককে দলে শামিল করে ফেলবে বিজেপি।

বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলায় বিজয়বর্গীয়র উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেবেন অরিন্দম। এদিনই দিল্লি পৌঁছেছেন তিনি। বিগত কয়েকমাস ধরেই তৃণমূলের হয়ে যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন এই বিধায়ক। বঙ্গধ্বনি যাত্রা থেকে শুরু করে সব কর্মসূচিতেই অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তবে ঘাসফুলের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে এদিন পদ্মশিবিরে যোগ দিচ্ছেন অরিন্দম।

বিজেপিতে যোগ দিয়ে শান্তিপুরের বিধায়ক বলেন, “আমি যুবকদের নিয়ে ভাল কিছু করতে চাই। বারবার তৃণমূল নেতৃত্বকে বলেও কোনও কাজ হয়নি। কোনও যুবক যখন কিডনি বিক্রির কথা বলছে সেটা অনেকটা লজ্জাজনক। বাংলায় চাকরি হচ্ছে না, শুধুই দুর্নীতি হচ্ছে। আমার হাত-পা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।”

অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সুযোগ সন্ধানী কিছু লোক আছে। তারা যত তাড়াতাড়ি যায় ততই ভাল। যাদের কাজ করার ইচ্ছে আছে, তারা অনেক কাজই করতে পারে। অনেকেরই লোভ আছে। যাদের যাওয়ার চলেই যাক আমাদের দল তাহলে পরিশুদ্ধ হয়। যে কাজ করতে চায় না, তার বাহানাও কম হয় না।”

গত বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসেবে শান্তিপুর থেকে লড়েছিলেন কংগ্রেসের প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অজয় দে-কে তিনি ১৯ হাজারের বেশি পরাজিত করেন। এরপর ২০১৭ সালের এপ্রিস মাসে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। সেই সময় অরিন্দম ভট্টাচার্য ছিলেন যুব কংগ্রেসের সভাপতি। কিন্তু, তৃণমূলেও পাঁচ বছর কাটাতে না কাটাতে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ-কে বলতে শোনা গিয়েছিল, আগামী সময়ে কমপক্ষে ৪০ জন তৃণমূলের বিধায়ক ও ৭-৮ জন সাংসদ বিজেপিতে যোগ দেবেন। বিষ্ণুপুরের সাংসদের এই দাবির পরই তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী দিল্লি যাবেন বলে জানা যায়। তবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর শতাব্দী সেই সফর বাতিল করে দেন। দিনদুয়েক আগেও আবার হাওড়ার আরেক সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌমিত্রর ঘোষণার পর তৃণমূলের কোনও সাংসদ দল ছাড়েননি ঠিকই। তবে এক বিধায়ক ছেড়ে দিলেন তা বলাই যায়।