India-China Disengagement: ছিল বাঙ্কার, ট্রেঞ্চে মজুত ছিল মর্টারও! লাল ফৌজ পিছু হটার প্রমাণ মিলল উপগ্রহ চিত্রে
India-China Disengagement: উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৩ কিলোমিটার পিছু হটেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা ‘পিএলএ’। দেখা গিয়েছে, সেখানে রীতিমতো সেনা চৌকি তৈরি করে ‘স্ট্যান্ড অফ পয়েন্টে’ এতদিন বসেছিল চিনা সেনা।
নয়া দিল্লি: দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলছিল টানাপোড়েন। অবশেষে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছ থেকে পিছু হটল চিন। ভারত ও চিনের সেনাস্তরীয় বৈঠকেই গোগরা ও হট স্প্রিংয়ের সংঘর্ষস্থল থেকে সেনা প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত নেওয় হয়েছিল, তা কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে, তার প্রমাণ মিলল উপগ্রহ চিত্রে। মাক্সার স্যাটেলাইটের চিত্রে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, গোগরা-হট স্প্রিং থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পিছু হটেছে লাল ফৌজ।
২০২০ সালের মে মাস থেকেই পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘিরে ভারত ও চিনের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। জুন মাসে গালওয়াল উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। দুই দেশের মধ্যেই কূটনৈতিক ও সেনাস্তরীয় বৈঠক হলেও, সমাধান সূত্র মিলছিল না কিছুতেই। শেষে গত জুলাই মাসে ১৬ তম কর্পস কম্যান্ডার বৈঠকেই দুই দেশ মিলিতভাবে গোগরা-হট স্প্রহরিংয়ের সংঘর্ষস্থল থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় সেনা প্রত্যাহারের কাজ। শেষ হয় ১২ সেপ্টেম্বর। এরপর ওই অঞ্চলের অবস্থা কীরকম, তাই-ই ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে।
উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৩ কিলোমিটার পিছু হটেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা ‘পিএলএ’। দেখা গিয়েছে, সেখানে রীতিমতো সেনা চৌকি তৈরি করে ‘স্ট্যান্ড অফ পয়েন্টে’ এতদিন বসেছিল চিনা সেনা। সেখানে তৈরি করা হয়েছিল বাঙ্কার, খোঁড়া হয়েছিল ট্রেঞ্চও। ওই ট্রেঞ্চে মজুত করাছিল ভারী অস্ত্র, যার মধ্যে ছিল মর্টারও। আরও জানা গিয়েছে, যে এলাকায় বাঙ্কার তৈরি করেছিল লাল ফৌজ, ২০২০ সালেও সেই অঞ্চলে নিয়মিত টহল দিত ভারতীয় সেনা। তবে এই উপগ্রহ চিত্র নিয়ে ভারতীয় সেনার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এখনও।
সেনা প্রত্যাহারের পর, ১৫ সেপ্টেম্বর যে ছবি তোলা হয়েছে উপগ্রহ থেকে, সেখানে দেখা গিয়েছে চিনের সেনা তাদের বাঙ্কার ভেঙে ফেলেছে। নির্মাণকাজের ভাঙা অংশও তারা গাড়িতে করে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে উত্তর দিকে। তবে নিরাপত্তার খাতিরে বাফার জ়োনের ছবি প্রকাশ করা হয়নি। ওই অঞ্চলে কোনও দেশের সেনা পেট্রোলিংও করতে পারে না বলেই জানা গিয়েছে।