Satish Kaushik Demise: ম্যানেজারকে ফোন করে বলেছিলেন ‘দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে’, হোলি পার্টির পর ঠিক কী হয়েছিল সতীশ কৌশিকের সঙ্গে?

Delhi Police on Satish Kaushik's Death: ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, ৬৬ বছর বয়সী ওই অভিনেতার মৃত্যুর পিছনে কোনও অস্বাভাবিক কারণ ছিল না।

Satish Kaushik Demise: ম্যানেজারকে ফোন করে বলেছিলেন 'দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে', হোলি পার্টির পর ঠিক কী হয়েছিল সতীশ কৌশিকের সঙ্গে?
সতীশ কৌশিক।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 10, 2023 | 7:58 AM

নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার নয়, বুধবার রাত থেকেই অসুস্থ বোধ করছিলেন অভিনেতা সতীশ কৌশিক(Satish Kaushik)। পুলিশের তদন্তে এমনটাই জানা গেল। বৃহস্পতিবার ভোরে জানা যায়, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা তথা পরিচালক সতীশ কৌশিক। বৃহস্পতিবারই ময়নাতদন্তের (Post Mortem) পর তাঁর দেহ দিল্লি থেকে মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের (Police) তরফে জানানো হয়েছে, হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হয়েই প্রবীণ অভিনেতার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পিছনে কোনও অস্বাভাবিক কারণ ছিল না।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লিতে এক পরিচিতের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বলিউডের অভিনেতা সতীশ কৌশিক। সেখানে হোলির একটি অনুষ্ঠানেও তিনি যোগ দিয়েছিলেন। এরপরে রাতে দিল্লির বিজওয়াসান ফার্মহাউসে যান তিনি। সেখানেই তিনি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। বুকে ব্যাথা হয় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে গুরুগ্রামের একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, ৬৬ বছর বয়সী ওই অভিনেতার মৃত্যুর পিছনে কোনও অস্বাভাবিক কারণ ছিল না। কোন সময়ে ও নির্দিষ্ট কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা জানার জন্য় বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ে জাভেদ আখতার-শাবানা আজমির বাড়িতে হোলি পার্টিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি বুধবার দিল্লিতে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে হোলি উদযাপন করতে আসেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছবিও পোস্ট করেছিলেন তিনি। বুধবার দিনভর তিনি কী কী করেছিলেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সতীশ কৌশিকের ম্যানেজারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

সংবাদসংস্থা এএনআই-কে সতীশ কৌশিকের ম্যানেজার সন্তোষ রাই বলেন, “সতীশজী রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘুমোতে যান। প্রায় রাত ১২টা নাগাদ তিনি আমায় ফোন করেন এবং বলেন যে দমবন্ধ হয়ে আসছে। এরপরই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাই আমরা। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।”