Kiranmay Nanda to meet Mamata Banerjee: উত্তর প্রদেশে প্রচারে কি মমতা, অখিলেশের দূত কিরণময় নন্দ আজ কালীঘাটে

UP Assembly Election 2022: মঙ্গলবার কিরণময় নন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাবেন। কালীঘাটে বিকেল সাড়ে ৪টের সময় এই বৈঠক হবে।

Kiranmay Nanda to meet Mamata Banerjee: উত্তর প্রদেশে প্রচারে কি মমতা, অখিলেশের দূত কিরণময় নন্দ আজ কালীঘাটে
২০১৯ সালে এই ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন কিরণময় নন্দ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2022 | 12:54 PM

কলকাতা: উত্তর প্রদেশে বিধানসভা ভোট। সেই আবহে মঙ্গলবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসছেন সমাজবাদী পার্টি নেতা কিরণময় নন্দ। নিঃসন্দেহে সপা নেতার তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের তরফে জানানো হয়েছে যোগী রাজ্যের ভোটে ঘাসফুল প্রার্থী দেবে না। বরং তাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির প্রতি। অখিলেশের দূত এবং এ রাজ্যের প্রাক্তন মৎসমন্ত্রী কিরণময় নন্দের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হতে পারে।

২০২১ সালে বাংলায় বিধানসভা ভোটের সময় সপা নেত্রী জয়া বচ্চন এসেছিলেন এ রাজ্যে। তৃণমূলের হয়ে কলকাতায় প্রচার করেছিলেন তিনি। কিরণময় নন্দও প্রচার করেছিলেন তৃণমূলের সমর্থনে। নন্দীগ্রামে প্রচার করেছিলেন তিনি। অর্থাৎ বাংলার ভোটের সময় সমাজবাদী পার্টি তৃণমূলের প্রতি তাদের সমর্থন স্পষ্ট করেছিল দলের নেতৃত্বকে পাঠিয়ে। এবার তারই পাল্টা ছবি দেখা যেতে পারে।

মঙ্গলবার কিরণময় নন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাবেন। কালীঘাটে বিকেল সাড়ে ৪টের সময় এই বৈঠক হবে। উত্তর প্রদেশ ভোটে বিজেপিকে হারাতে মরিয়া সমাজবাদী পার্টি। সেই লড়াইয়ে তৃণমূলের পাশে থাকার বার্তাই এদিনের বৈঠকের পর উঠে আসবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বৈঠক শেষে দু’ দলের তরফে কোনও যৌথ বিবৃতি উঠে আসে কি না সেদিকে নজর থাকবে সমস্ত মহলের।

সমাজবাদী পার্টি নেতা কিরণময় নন্দের কালীঘাটে বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ তীব্র কটাক্ষ করেছেন। দিলীপ ঘোষের কথায়, “অখিলেশের হয়তো মনে হচ্ছে অন্যের সমর্থন লাগবে। না হলে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়ে উত্তর প্রদেশে গিয়ে কী সাহায্য করতে পারবেন? শিবসেনাকে কী সাহায্য করতে পারবেন? গোয়াতে যে অবস্থা হয়েছে, একই হবে। ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে ধর্মতলায় এসে সবাই হাত উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্রিগেডে, বড় সভা হয়েছিল, মাছ ভাত খাওয়া হয়েছিল তার ফল কী হয়েছিল। বিজেপি ১৮ হয়েছিল এখানে। ৩০৩ সারা দেশে আমরা আসন পেয়েছিলাম। সে জন্য বিরোধীদের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। মানুষের আস্থাও চলে গিয়েছে। তাই মোদীজীর উপরে ভরসা আছে, যোগীজীর উপর ভরসা আছে। বিজেপি নিশ্চিতভাবে উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় আসবে।”

আরও পড়ুন: রেড রোডে কুচকাওয়াজে ‘বাতিল’ ট্যাবলো, প্রজাতন্ত্র দিবসে অনুষ্ঠানেও কাটছাঁট, ঘোষণা নবান্নের