Andhra Pradesh Rains: অন্ধ্রে ভারী বৃষ্টি, হড়পা বানে মৃত ৮; নিখোঁজ কমপক্ষে ১২
Andhra Pradesh Flood Situation: এখনও পর্যন্ত অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে ভারী বৃষ্টির জেরে। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না কমপক্ষে ১২ জনের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় নামানো হয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল বাহিনী। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে বায়ু সেনাও। যৌথ উদ্যোগে এখনও পর্যন্ত হড়পা বানে আটকে পড়া ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
অমরাবতী: অন্ধ্রপ্রদেশের রায়লাসীমা এলাকার তিন জেলা এবং উপকূলীয় এক জেলায় ভারী বৃষ্টি। ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে এই জেলাগুলিতে। আর তার জেরেই বিপন্ন জনজীবন। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে ভারী বৃষ্টির জেরে। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না কমপক্ষে ১২ জনের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় নামানো হয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল বাহিনী। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে বায়ু সেনাও। যৌথ উদ্যোগে এখনও পর্যন্ত হড়পা বানে আটকে পড়া ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ইতিমধ্যেই তিনি ফোন করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন মোহন রেড্ডি। পরিস্থিতির কীরকম, তার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, আগামিকাল আকাশ পথে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন জগনমোহন রেড্ডি।
জেলাগুলিতে যে নদী-নালাগুলি রয়েছে সেগুলি ফুলে ফেঁপে উঠে একটি বিশাল বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। চার জেলার জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির তোড়ে অনেক জায়গাতেই কোনটা রাস্তা আর কোনটা খালে বোঝার উপায় নেই। জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে বহু গাড়ি।
যদিও রেনিগুন্টার তিরুপতি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আজ বিমান ওঠানামার জন্য আবার খুলে দেওয়া হয়েছে, তবে তিরুমালা পাহাড়ের দুটি ঘাট রাস্তা এখনও বন্ধ রয়েছে। আলিপিরি থেকে তিরুমালা যাওয়ার সিঁড়িটি ভূমিধস এবং বন্যার কারণে অনেকটা ভেঙে গিয়েছে। ফলে, পাহাড়ে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটক এবং তীর্থযাত্রীদের জন্য যা ভীষণ রকমের সমস্যা তৈরি করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের আধিকারিকদের পাহাড়ে আটকে পড়া তীর্থযাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে খাবার এবং থাকার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কাডাপা জেলার রাজামপেট এলাকায়, চেইয়েরু নদীতে হড়পা বানে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এখনও নিখোঁজ অন্তত ১২ জন।
কাডাপা জেলার কালেক্টর বিজয়া রামা রাজু সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, জেলায় মোট আটজন মারা গিয়েছেন বন্যায়। রাজ্য সড়ক পরিবহন নিগমের একটি বাসের কন্ডাক্টর এবং দু’জন যাত্রী বন্যার মধ্যে পড়ে জলে তলিয়ে গিয়েছেন। বাসে থাকা অন্য দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।
পার্শ্ববর্তী অনন্তপুরমু জেলায়, ভেলদুরথি গ্রামে চিত্রাবতী নদীর বন্যায় আটকা পড়া ১০ জনকে ভারতীয় বায়ু সেনার জওয়ানরা উদ্ধার করেন। কর্ণাটকের ইয়েলাহাঙ্কা বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে উড়ে এসেছিল ওই হেলিকপ্টারটি। জওয়ানরা এমআই-১৭ হেলিকপ্টার ব্যবহার করে একটি জেসিবিতে আটকে পড়া ১০ জনকে উদ্ধার করেছেন।
এর আগে বিকেলে চিত্রাবতী বন্যায় আটকা পড়া একটি গাড়িতে থাকা চারজনকে উদ্ধার করতে জেসিবি গিয়েছিল। কিন্তু বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলে জেসিবিতে থাকা ছয়জন এবং চারজন গাড়ির যাত্রী আটকে পড়েন। অনন্তপুরম জেলা প্রশাসনের তরফে বায়ু সেনার কাছে উদ্ধার কাজের জন্য একটি এসওএস পাঠানো হয়েছিল এবং তারপরেই উদ্ধার অভিযানটি শুরু করেন বায়ু সেনার জওয়ানরা।
এদিকে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ এবং দমকলের কর্মীরা কাডাপা এবং চিত্তুর জেলার বন্যা কবলিত এলাকাগুলি থেকে দশ হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে। কাডাপা জেলায়, ৩৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে এবং সেগুলিতে এখনও পর্যন্ত ১,২০০ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বন্যা কবলিত জেলার কালেক্টরদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার ও ত্রাণ ব্যবস্থা জোরদার করতে বলেছেন।
দক্ষিণ-মধ্য রেল দুর্যোগের মধ্যে ১১টি যাত্রীবাহী এবং এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করেছে। পাঁচটি ট্রেন আংশিকভাবে বাতিল করা হয়েছে, ২৭ টি ট্রেন অন্য রুট দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : Babul Supriyo in Tripura: ‘দিদির পায়ে হাওয়াই চটি, ভাইরা সব কোটিপতি’, বাবুলের সভার মাঝেই বেজে উঠল সেই গান