
কলকাতা: সেই বিহার থেকে শুরু। এসআইআর বা বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সবকটা মামলারই শুনানি হয়েছে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে। একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে। নির্বাচন কমিশনকে একাধিক বার্তা দিয়েছেন দুই বিচারপতি। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের করা একটি মামলারও শুনানি হয় ওই বেঞ্চে। এবার সেই বেঞ্চের বিচারপতির বাড়িতেই পৌঁছে গেল এনুমারেশন ফর্ম।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বাড়ি কলকাতায়। গোলপার্কের সেই বাড়িতে থাকে তাঁর পরিবার। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সেই বাড়িতেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ফর্ম। বিচারপতি বাগচীর তরফে ফর্ম গ্রহণ করেছেন তাঁর স্ত্রী।
সম্প্রতি তৃণমূলের করা মামলায় বিচারপতি কান্ত ও বিচারপতি বাগচীর বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কমিশনকে তাদের কাজ করতে দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে এসআইআর-এর সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিল তৃণমূল।
উল্লেখ্য, বিহারে এসআইআর চলাকালীন যখন মামলা হয়, তখন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীই বারবার আধার কার্ডকে নথি হিসেবে গণ্য পক্ষে বক্তব্য রেখেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, পাসপোর্ট এবং জন্ম শংসাপত্র ছাড়া, নির্বাচন কমিশনের দেওয়া অন্য ১১টি নথির কোনওটিই নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ নয়। সেই প্রেক্ষিতে বিচারপতি আরও বলেছিলেন, ”যদি আপনি ১১টি নথি দেখেন, সেখানে পাসপোর্ট এবং জন্ম শংসাপত্র ছাড়া কোনওটিই নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ নয়।” তাই আধারকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ‘রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপলস অ্যাক্ট’ নিজেই যে আধার কার্ডের কথা উল্লেখ করেছে, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি বাগচীই।