নয়া দিল্লি: পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টার পদ ছাড়ার পরই জল্পনা শুরু হয়েছিল ফের একবার হয়তো সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। আগামী বছর পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তিনি ফের রাজনীতির ময়দানে পা রাখছেন। তবে অন্য কোনও দল নয়, কংগ্রেসেই তিনি যোগ দিতে পারেন। তবে এই দক্ষ ভোটকুশলীকে দলে ুেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে দলের অন্দরে দ্বিমত তৈরি হওয়ায়, শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীই।
গত জুলাই মাসেই তিন গান্ধী অর্থাৎ সনিয়ান, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন পিকে। এরপরই জল্পনা শুরু হয়, হয়তো কংগ্রেসেই যোগ দিচ্ছেন তিনি। সূত্রের দাবি, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে নরেন্দ্র মোদীকে হঠাতে কেন্দ্রীয় স্তরে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে কংগ্রেসকেই বেছে নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। অতীতে উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং পিকের দলে যোগদান নিয়ে তাঁদের কোনও সমস্যা নেই বলেই জানা গিয়েছে।
প্রশান্ত কিশোরকে ঘিরে বিরোধ বেঁধেছে কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের নেতৃত্বদের মধ্যে। দলের কয়েকজন প্রশান্তের যোগদানে আসন্ন নির্বাচনে লাভ হবে বলে মনে করলেও, বাকিদের দাবি, এভাবে হঠাৎ করে কাউকে দলে এনে কোনও লাভ হবে না। গান্ধী পরিবারের উচিত দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা, যা তারা দীর্ঘদিন আগেই বন্ধ করে দিয়েছেন।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের হয়ে আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। জনসভা, বিরোধী জোট সহ একাধিক প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। এদিকে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতাদের কথায়, প্রশান্ত কিশোরের কাছে কোনও জাদুর ছড়ি নেই যে তিনি এলেই নির্বাচনে জয়লাভ করা যাবে। একইসঙ্গে দলের নীতি ও সংস্কৃতির সঙ্গেও পিকে খাপ খাওয়াতে পারবেন না বলে জানান ওই নেতা।
আহমেদ পটেলের মৃত্যুর পরই কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সনিয়া গান্ধী পরামর্শদাতা খুঁজছিলেন, প্রশান্ত কিশোর সেই পদই পূরণ করতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে। তবে অতীতে কংগ্রেসের সঙ্গে প্রশান্তের সম্পর্ক খুব একটা ভাল থাকেনি। ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের সময়ও কংগ্রেস-সমাজবাদী পার্টির জোটের ব্যর্থতার জন্য পিকে-কেও কিছুটা দায়ী কা হয়। তবে পঞ্জাবে বিজেপি-আকালি দলের জোটকে হারিয়ে কংগ্রেস জয়লাভ করায় প্রশান্ত নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা কিছুটা বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন।