Kamal Nath: রাজ্যসভার টিকিট না পেয়েই কংগ্রেসের সঙ্গে ৫০ বছরের সম্পর্ক ভাঙছেন কমল নাথ?

Congress: কংগ্রেসের অন্দর মহলের খবর, মূলত রাজ্যসভার টিকিট নিয়েই বিরোধ বেধেছে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কমল নাথের। সম্প্রতিই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যসভার টিকিটের দাবি করেছিলেন প্রবীণ নেতা। কিন্তু কমল নাথের এই দাবি সবিনয়ে প্রত্যাখান করেন খাড়্গে। এতেই রেগে যান কমল নাথ। সেখান থেকেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত।

Kamal Nath: রাজ্যসভার টিকিট না পেয়েই কংগ্রেসের সঙ্গে ৫০ বছরের সম্পর্ক ভাঙছেন কমল নাথ?
কমল নাথ।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Feb 18, 2024 | 6:40 AM

নয়া দিল্লি: বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই মনে জমেছিল ক্ষোভ, রাজ্যসভার টিকিট না পেয়েই সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ? রাজনৈতিক মহলে এখন একটাই জল্পনা, কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে ৫০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছেন কমল নাথ। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি(BJP)-তে যোগ দিতে পারেন মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছেলে নকুলও যোগ দেবেন বিজেপিতে। আর কমল নাথের কংগ্রেস ছাড়ার অন্যতম কারণই হল রাজ্যসভার টিকিট। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের কাছ থেকে রাজ্যসভার টিকিট চেয়েছিলেন কমল নাথ। সেই টিকিট না পেয়েই ক্ষোভে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত।

শনিবার কমল নাথ ও তাঁর ছেলে দিল্লি পৌঁছতেই জোর চর্চা শুরু হয় যে কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিতে পারেন। যদিও কমল নাথ এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর না দিয়ে কেবল ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন। তবে দল নিয়ে যে অখুশি, তা জাহির করে প্রবীণ নেতা জানিয়েছেন, পাঁচ দশক আগে তিনি যে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে আজকের কংগ্রেসের কোনও মিল নেই।

এদিকে, কংগ্রেসের অন্দর মহলের খবর, মূলত রাজ্যসভার টিকিট নিয়েই বিরোধ বেধেছে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কমল নাথের। সম্প্রতিই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যসভার টিকিটের দাবি করেছিলেন প্রবীণ নেতা। কিন্তু কমল নাথের এই দাবি সবিনয়ে প্রত্যাখান করেন খাড়্গে। এতেই রেগে যান কমল নাথ। সেখান থেকেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত।

অপর একটি সূত্রে খবর, কমল নাথকে দলে থাকার জন্য রাজি করাতে বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছে না কংগ্রেসও। একসময়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বদলে কমলনাথকে মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিয়েছিল কংগ্রেস, কিন্তু পাঁচ বছরও সরকার ধরে রাখতে পারেননি কমল নাথ। নির্বাচনের সময় দিল্লি থেকে যখনই কোনও কংগ্রেসের প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে, তাঁর সঙ্গেও সহযোগিতা করেননি কমল নাথ, এমনটাই অভিযোগ। এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও কংগ্রেসের ভরাডুবির জন্য একাংশ কমল নাথের একবগ্গা জেদ-কেই দায়ী করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, মধ্য প্রদেশের চিন্দওয়াড়ার নয়বারের সাংসদ কমল নাথ। ২০১৯ সালে ওই আসনেই দাঁড়ায় তাঁর ছেলে নকুল এবং নির্বাচনে জয়ীও হয়।