Aryan Khan Drug Case: ‘জনপ্রিয় হলেই কারও আইন ভাঙার অধিকার জন্মে যায় না’, নরমে গরমে শাহরুখ-পুত্রকে বোঝালেন এনসিবি কর্তা
NCB: আরিয়ান খানকে গ্রেফতারির পরই সমীর বলেন, কেউ জনপ্রিয় হতেই পারে। কিন্তু কখনও কোনও রকম জনপ্রিয়তাই আইন ভাঙার অনুমতি দেয় না।
মুম্বই: সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন একটাই নাম, সমীর ওয়াংখেড়ের (Sameer Wankhede) নাম। ‘সমীর ওয়াংখেড়, নাম তো সুনা হি হোগা’! বলিউডের কিং খানের ছেলে আরিয়ান খানকে (Aryaan Khan) যিনি মাদককাণ্ডে আরব সাগরে ভাসমান প্রমোদতরী থেকে তুলে এনে এনসিবির হেফাজতে রেখেছেন। নার্কোটিক্স কনট্রোল ব্যুরোর (NCB) যিনি জো়নাল ডিরেক্টর। আরিয়ান খানকে গ্রেফতারির পরই সমীর বলেন, কেউ জনপ্রিয় হতেই পারে। কিন্তু কখনও কোনও রকম জনপ্রিয়তাই আইন ভাঙার অনুমতি দেয় না।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সমীর ওয়াংখেড়ে বলেন, “আমরা আমাদের কাজ করি মাত্র। আমরা নিয়মকানুনে জোর দিই সবসময়। আর আইন তো সকলের জন্যই সমান। তা হলে কি আমরা নিয়ম ভাঙা সত্ত্বেও কেউ জনপ্রিয় বলে ছেড়ে দেব? জনপ্রিয় হলেই কি আইন ভাঙার অধিকার জন্মে যায় নাকি কারও? আমরা যদি দেখি কোনও নামজাদা মানুষ আইন ভাঙছেন, তা হলে কি চোখ বন্ধ করে থাকব!”
ইতিমধ্যেই সমীরের বিরুদ্ধে একাংশ অভিযোগ তুলেছেন, বার বার বলিউডকে টার্গেট করেন তিনি এনসিবির এই আধিকারিক। যদিও সে সব বিষয়কে মোটেই পাত্তা দিতে নারাজ সমীর। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সমীর জানান, এরকম বহুবারই বলা হয়েছে, তাঁরা শুধু বলিউডকেই টার্গেট করে। তবে এ সমস্ত বিষয় যেহেতু বিচারের আওতায় পড়ে তাই তা নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়। বরং তথ্য নিয়ে কথা বলাটাই ভাল। কারণ প্রমাণ ছাড়া কোনও কিছু বলাই ঠিক নয়।
গত ১০ মাসে ১০৫টি মামলা হাতে নিয়েছেন সমীর ওয়াংখেড়ে। সেই উদাহরণ তুলে সমীর বলেন, ‘১০ মাসে ১০৫টা মামলা মানে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২টা মামলা। আপনারাই বলুন এর মধ্যে ক’টা মামলা সেলেব্রিটিদের নিয়ে? এ বছর আমরা ৩১০ জনের বেশি লোককে গ্রেফতার করেছি। এর মধ্যে কতজন সেলেব্রিটি রয়েছেন? আসলে এগুলো বলতে হয় তাই বলেন। আমরা এ বছর ১৫০ কোটি টাকার অবৈধ জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছি। কই, কেউ তো এগুলো নিয়ে কথা বলছেন না!’
একই সঙ্গে সর্বভারতীয় ওই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিডিয়ার প্রতিও কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করেন সমীর ওয়াংখেড়ে। তাঁর কথায়, এখন আরিয়ান খান গ্রেফতার হয়েছে বলে এক খবর হচ্ছে। অথচ কিছুদিন আগেই পাঁচ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করল এনসিবি। আগের সপ্তাহেই প্রায় ৬ কোটি টাকার ড্রাগ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সেগুলি আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। অথচ কেউ জানতেও পারেনি। সমীরের বক্তব্য, “আসলে মিডিয়া এনসিবিকে নিয়ে লেখে না। যখনই কোনও বড় নাম এর সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন প্রচারও হয়। এ জন্যই অনেকে মনে করেন আমরা শুধু বড় নামের পিছনেই ছুটি। কিন্তু তা একেবারেই ঠিক নয়।”