East West Metro: সর্বনাশা সুড়ঙ্গে বিপর্যস্ত কলকাতা, কিন্তু কীভাবে সাফল্যের মুখ দেখছে দিল্লি মেট্রো?

East West Metro: সুড়ঙ্গ খুঁড়তেই বারবার বিপর্যয় কলকাতায়, কিন্তু কীভাবে সাফল্যের মুখ দেখেছে দিল্লি মেট্রো?

East West Metro: সর্বনাশা সুড়ঙ্গে বিপর্যস্ত কলকাতা, কিন্তু কীভাবে সাফল্যের মুখ দেখছে দিল্লি মেট্রো?
ছবি - কলকাতায় বিপর্যয়ের মাঝে সাফল্যের কাহানি শোনাচ্ছে দিল্লি মেট্রো
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 12, 2022 | 10:24 PM

নয়া দিল্লি: একদিকে যেন কলকাতার ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো (East West Metro) নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে জোরদার চর্চা চলছে বাংলার নাগরিক মহলে সেখানে এক অনন্য সাফল্যের কাহানি শোনাচ্ছে দিল্লি মেট্রো(Delhi Metro)। প্রসঙ্গত, কলকাতার(Kolkata) ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ পথ বর্তমানে নজর কেড়েছে গোটা দেশের। এই সুড়ঙ্গটির একটি অংশ গঙ্গা গিয়েছে সরাসরি গঙ্গার নীচ দিয়ে। ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার এই প্রথম এই ধরনের কোনও সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছে যা একেবারে কোনও নদীর নীচ দিয়ে গিয়েছে। এদিকে বউবাজার দিয়ে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রেলের সুড়ঙ্গ তৈরির সময় বারেবারেই উপরে থাকা বাড়িতে ফাটল ধরতে দেখা যাচ্ছে। যা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে প্রশাসনেরও। ২০১৯ সালে প্রথমবার বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল ধরা পড়ে৷ এর পর ফের ২০২০ সালে ফের ফাটল ধরা পড়ে৷ এবার ফের ধরা পড়ল ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে। কিন্তু, তারপরেও দিল্লি মেট্রোর আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলিং প্রায়শই উঠে এসেছে সংবাদ চর্চায়। শুনিয়েছে সাফল্যের কথা।  

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে দিল্লি মেট্রো প্রথম তাদের অপারেশন শুরু করে। এখন দিল্লি মেট্রোর উদ্দেশ্য শুধুমাত্র দিল্লী নয়, পার্শ্ববর্তী নয়ডা, গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদেও ১ কোটি ৪০ লক্ষের বেশি মানুষকে মেট্রো পরিষেবা দেওয়া। দিল্লিতে শুধু আন্ডারগ্রাউন্ডই নয়, তারও নীচে নতুন আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল করেছে মেট্রো। উদাহরণস্বরূপ, দিল্লিতে নয়ডা থেকে আসা মান্ডি হাউস লাইনের নীচে দিয়ে গিয়েছে মান্ডি হাউস থেকে আইটিও আসার মেট্রোপথ। যা গোটা দেশের সমস্ত মেট্রো শহরের কাছেই একটা বড় দৃষ্টান্ত। টানেল বোরিং মেশিন দিয়েই তৈরি হয়েছে বেশিরভাগ সুড়ঙ্গ। 

তবে এই প্রসঙ্গে দিল্লি মেট্রো বা DMRC-র কর্তাদের মত দিল্লির সমস্ত জায়গাতে মাটির ধরন একরকমের নয়। তাই সর্বত্র টানেল বোরিং মেশিন দিয়ে খোদাই করা সম্ভব নয়। যেমন দিল্লিতে যেখানে কালকাজি মন্দির আছে তার তলায় যদি এই পদ্ধতিতে খনন করা হতো তাহলে বড় ক্ষতি হতে পারত। তাই সেখানে ১৭৬ মিটার এলাকার খননকার্যের জন্য ব্যবহার করা হয়  NATM বা নিউ অস্ট্রেলিয়ান টানেলিং মেথড। তবে কলকাতা কেন বারবার সুড়ঙ্গ খুঁড়তে গিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়ছে? প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে, DMRC-র কর্তাদের মত, “কী সমস্যা হয়েছে তা সেখানের মাটি, বাড়ি ঘরের অবস্থা না দেখে বলা সম্ভব নয়। তবে আজ বিশ্বে নানা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বেরিয়েছে। যা দিয়ে সহজেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব”। তবে নিত্য সার্ভে, মাটির প্রকার ইত্যাদির উপর নিয়মিত নজরদারি করলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মত দিল্লি মেট্রো কর্তাদের। তবে কী অস্ট্রেলিয়ান টানেলিং মেথড ব্যবহার করলে বিপদের হাত থেকে বাঁচতে পারত বউবাজার? এই প্রশ্নই ঘুরছে বিভিন্ন মহলে।