চণ্ডীগড় : পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান সুনীল জাখারকে নিয়ে দলের অন্দরে বেশ কিছুদিন ধরেই চাপা উত্তেজনা চলছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এই চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমে তাঁর দলবিরোধী মন্তব্যের জন্য দলের তরফে পদক্ষেপ করার ভাবনাচিন্তাও চলছে। মঙ্গলবারই সেই বিষয়ে কংগ্রেসের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা। এই আবহে ফের একবার বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন কংগ্রেস নেতা সুনীল জাখার। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুর তাঁর গলায়। তিনি কতকটা ব্যঙ্গ করেই বললেন, যাঁদের এখনও বিবেক রয়েছে তাঁদের শাস্তি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টি ক্ষমতা দখল করার পর প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নিকে কটাক্ষ করেছিলেন সুনীল জাখার। তিনি বলেছিলেন চন্নি দলের কাছে দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপর কংগ্রেসের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়। প্রাক্তন মন্ত্রী রাজ কুমার ভারকা সহ একাধিক কংগ্রেসের নেতা সুনীল জাখারের বিরুদ্ধে সরব হন। চরণজিৎ সিং চন্নি ও তফশিলি জনজাতির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য় করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার দাবি জানান তাঁরা। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান। উল্টে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে এবং কোনও প্রেক্ষাপট ছাড়াই তুলে ধরা হয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁর বক্তব্যে কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে তার জন্য অনুশোচনাও প্রকাশ করেছেন তিনি।
आज, सर कलम होंगे उनके
जिनमें अभी ज़मीर बाकी है !**(My apologies to Javed Akhtar Saheb)
— Sunil Jakhar (@sunilkjakhar) April 26, 2022
সেই সূত্র ধরেই সুনীল জাখারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার জন্য মঙ্গলবার কংগ্রেসের বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানেই তাঁর দলবিরোধী আচরণের জন্য তাঁর প্রাপ্য শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল এই নিয়ে তাঁর কাছে একটি নোটিসও পাঠানো হয়েছিল। এবং এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর কাছ থেকে জবাব জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই নোটিসে কোনওরকম উচ্চবাচ্য করেননি তিনি। এই আবহে জাখার টুইট করে কংগ্রেসের কটাক্ষ করে লিখেছেন, “যাদের বিবেক রয়েছে তাঁদের মুণ্ডচ্ছেদ করা হবে।” প্রসঙ্গত, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অমরিন্দর সিংয়ের পদত্যাগের পর পঞ্জাবের মসনদে বসার লড়াইয়ে নাম ছিল তাঁরও। তিনি দাবি করেছিলেন ৪২ জন কংগ্রেস বিধায়ক তাঁকেই পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। সেখানে চন্নিকে সমর্থন করছে কেবলমাত্র দুইজন বিধায়ক। কিন্তু সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে যখন চন্নিকেই বেছে নেওয়া হয় তখন থেকেই অন্য সুর সুনীলের কণ্ঠে।
আরও পড়ুন : Prashant Kishor-Congress : প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, কংগ্রেসের হাত ধরলেন না ভোটকুশলী প্রশান্ত