AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘এভাবেই রোগীরা জ্বলে পুড়ে মরবে’, সুপ্রিম কোর্টের তুমুল সমালোচনার মুখে গুজরাট সরকার

এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, "যখন আমরা কোনও নির্দেশ দিই, তার উপর কোনও প্রশাসনিক নির্দেশিকা চাপানো যায় না।"

'এভাবেই রোগীরা জ্বলে পুড়ে মরবে', সুপ্রিম কোর্টের তুমুল সমালোচনার মুখে গুজরাট সরকার
ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2021 | 3:00 PM
Share

নয়া দিল্লি: হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের একাধিক উদাহরণ থাকা সত্ত্বেও করোনা হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকার তাদের নির্দেশিকা তুলে নেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ল গুজরাট সরকার। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, ” এই নির্দেশিকা হাসপাতালগুলিকে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না নেওয়ার আরও সময় দিল। যতদিন ওরা পদক্ষেপ করবে না, এভাবেই রোগীরা জ্বলে-পুড়ে মরবে।”

এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “যখন আমরা কোনও নির্দেশ দিই, তার উপর কোনও প্রশাসনিক নির্দেশিকা চাপানো যায় না। এ বার আপনারা বলবেন যে ২০২২ সাল অবধি হাসপাতালগুলিকে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে না এবং সাধারণ মানুষ এভাবেই পুড়ে মরে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “নাসিকে একজন রোগী সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন, পরেরদিনই ছাড়া পেতেন। দুইজন নার্স শৌচালয় গিয়েছিলেন। অগ্নিকাণ্ডে তারা সকলেই জীবন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যান। এইধরনের বিপর্যয় আমাদের চোখের সামনেই হয়েছে। হাসপাতালগুলি এখন বড় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে এবং তারা সাধারণ মানুষের উপর চাপ সৃষ্টি করেই বাঁচে। চারটি ছোট ঘরের মধ্যে তৈরি হাসপাতালগুলি বন্ধ করতে হবে।”

গুজরাট সরকারের সমালোচনা করে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, “এই নির্দেশিকা দেখে মনে হচ্ছে রাজ্য বেআইনি কাজকর্মকেই সুরক্ষা দিচ্ছে।” এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা চেয়ে রাজ্য সরকারকে একটি হলফনামার মাধ্যমে জবাব দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে হাসপাতালে যে  অগ্নি সুরক্ষা নিয়ে অডিট করা হয়েছিল, তার রিপোর্টও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

গুজরাট সরকারের তরফে জবাব দেওয়ার জন্য সময় চাওয়া হলেও সুপ্রিম কোর্টের তরফে সমালোচনা করে গত বছর নভেম্বরে রাজকোটে উদয় শিবানন্দ হাসপাতালে আগুন লাগার প্রসঙ্গ টেনে আনা হয়। ওই কোভিড হাসপাতালের আইসিইউতে আগুন থেকে লেগেছিল এবং তা গোটা হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়ে। তদন্তে জানা যায়, হাসপাতালের বিদ্যুৎ লাইনে গণ্ডগোল থাকার কারণেই ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। গুজরাটের সেই হাসপাতালের ঘটনাকে ভয়ঙ্কর বলে আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, “আপনাদের মতে সবকিছুই ঠিক রয়েছে, কিন্তু আপনাদের চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের রিপোর্টই অন্য কথা বলছে।” আরও পড়ুন: শুরু হচ্ছে নভজ্যোতের ‘ক্যাপ্টেন্সি’, বাবার স্মৃতি রোমন্থনেও খোঁচা অমরিন্দরকে!