IIT-Dhanbad: ‘টাকাটাই সমস্যা…’, সুপ্রিম নির্দেশে দলিত ছাত্র ভর্তি হচ্ছে আইআইটি-তে

Dalit Candidate Admission To IIT-Dhanbad: জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইআইটি ধানবাদে ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারেনি দলিত ছাত্র অতুল কুমার। প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছিল অর্থাভাব। সেই কাঁটা উপরে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অনুচ্ছেদ ১৪২-এর অধীনে ব্যবহার করল বিশেষ ক্ষমতা।

IIT-Dhanbad: 'টাকাটাই সমস্যা...', সুপ্রিম নির্দেশে দলিত ছাত্র ভর্তি হচ্ছে আইআইটি-তে
আইআইটি ধানবাদে ভর্তি নিতে হবে অতুলকে, স্পষ্ট নির্দেশ শীর্ষ আদালতেরImage Credit source: PTI and ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 30, 2024 | 5:37 PM

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইআইটি ধানবাদে ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারেনি দলিত ছাত্র অতুল কুমার। প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছিল অর্থাভাব। ২৪ জুন ছিল ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে, প্রয়োজনীয় ১৭,৫০০ টাকা জোগার করে উঠতে পারেননি ১৮ বছরের কৃতি ছাত্রটি। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর), তাঁর আইআইটি ধানবাদে ভর্তি হওয়ার পথ পরিষ্কার করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অনুচ্ছেদ ১৪২-এর অধীনে তার বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে, অতুলকে আইআইটি ধানবাদে ভর্তি হওয়ার ব্যবস্থা করে দিল শীর্ষ আদালত। এদিন শুনানির সময়, ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “এত অল্পবয়সী প্রতিভাবান ছেলেকে আমরা হারিয়ে যেতে দিতে পারি না।”

প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশের মুজফ্ফরনগরের বাসিন্দা অতুল। তাঁর বাবা দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আগে তিনি ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট এবং মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, অতুলের বাবা প্রতিদিন ৪৫০ টাকা করে আয় করেন। তাই, ১৭,৫০০ টাকা জোগার করা তাঁর কাছে বড় বিষয় ছিল। তিনি গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ওই টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। ২৪ জুন বিকেল ৫টার মধ্যে ফি জমা দিতে হত। টাকা জোগার করতে করতে পৌনে ৫টা বেজে গিয়েছিল। তারপর, অন্যান্য নথিপত্র আপলোড করে অনলাইনে অর্থ প্রদানের জায়গায় আসতে আসতে ৫টা বেজে গিয়েছিল। অতুলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ দেখলেই, তাদের এই মরিয়া প্রয়াসের বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা যাবে বলে জানান তিনি।

আইআইটি ধানবাদের আইনজীবী জানান, জাতীয় তথ্যবিজ্ঞান কেন্দ্র বা এনআইসি থেকে অতুল কুমারকে ফি জমা দেওয়ার বিষয়ে একটি এসএমএস পাঠানো হয়েছিল। আইআইটি কর্তৃপক্ষও তাঁকে অর্থপ্রদান করার জন্য দুটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও পাঠানো হয়েছিল। অতুল প্রতিদিন আইআইটি-এর সাইটে লগইন করেও, টাকা জমা দেয়নি বলে জানান তিনি। জবাবে বিচারপতি পর্দিওয়ালা বলেন, “আপনি এত বিরোধিতা করছেন কেন? কেন আপনি মীমাংসার উপায় খুঁজছেন না? আসন বরাদ্দের ইন্টিমেশন স্লিপ বলছে, আপনারা চেয়েছিলেন যে সে ফি জমা দিক। সে তা করলে, অন্য কিছুর প্রয়োজন ছিল না।”

আদালত জানায়, আবেদনকারীর একজন মেধাবী ছাত্র এবং তিনি প্রান্তিক গোষ্ঠীর মানুষ। ভর্তি হওয়ার জন্য তিনি সবকিছু করেছেন। তাঁকে বাদ দেওয়া উচিত নয়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “তিনি একজন মেধাবী ছাত্র। একমাত্র ১৭,০০০ টাকাই তাকে আটকে দিয়েছে। তার কাছে ফি-এর ১৭০০০ টাকা নেই বলে, কোনও শিশুকে এভাবে বাদ দেওয়া উচিত নয়। আমরা নির্দেশ দিচ্ছি যে, এই প্রার্থীকে আইআইটি ধানবাদে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হোক। ফি দিলে তাকে যে ব্যাচে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হত, তাকে সেই ব্যাচেই ভর্তি হতে দিতে হবে। এর জন্য ওই ব্যাচের কোনও ছাত্রকে বাদ দেওয়া যাবে না, একটি সুপারনিউমারারি আসন তৈরি করা হোক। প্রার্থী ভাল করে পড়াশোনা করুন, সেই কামনা করি।”