Supreme Court: বহাল কলকাতা হাইকোর্টের রায়! বিশেষ ক্ষমতাবলে পকসো অভিযুক্তকে রেহাই শীর্ষ আদালতের
Supreme Court: কিন্তু কেন এমন রায় দিল শীর্ষ আদালত? ঘটনা ২০১৮ সালের। হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায় বছর ১৪-এর সেই 'নির্যাতিতা'। কিছুদিন পর জানা যায়, স্থানীয় এক বছর ২৫-এর যুবকের সঙ্গেই বিয়ে করেছে সে।

নয়াদিল্লি: শুক্রবার বিশেষ ক্ষমতার প্রয়োগের মাধ্যমে পকসো মামলায় এক অভিযুক্তকে নির্দোষ ঘোষণা করে খালাস করল দেশের শীর্ষ আদালত। ঠিক এক বছর আগে এই অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সময় উচ্চ আদালতের রায়কে স্থগিত করে শীর্ষ আদালত। কিন্তু এক বছর কাটতেই সেই একই পথে হাঁটল সুপ্রিম কোর্ট।
কিন্তু কেন এমন রায় দিল শীর্ষ আদালত? ঘটনা ২০১৮ সালের। হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায় বছর ১৪-এর সেই ‘নির্যাতিতা’। কিছুদিন পর জানা যায়, স্থানীয় এক বছর ২৫-এর যুবকের সঙ্গেই বিয়ে করেছে সে। মেয়ে তখনও নাবালিকা। ফলত, তাকে উদ্ধারের পর ওই যুবকের বিরুদ্ধে পকসো মামলা দায়ের করে পরিবার। স্থানীয় নিম্ন আদালতে ওঠে মামলা। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হন অভিযুক্ত। ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয় তাকে।
এরপর সেই নিম্ন আদালতের রায়কে চ্য়ালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত। সওয়াল-জবাব ও নানা যুক্তি-তর্কের পর অভিযুক্ত নির্দোষ তকমা পেলেও বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার রায়ে বিচারপতি বলেন, একজন নাবালিকাকে নিজের যৌন আকাঙ্খা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত কারণ সমাজ এই সকল ঘটনায় তাদেরই কাঠগড়ায় টানে। হাইকোর্টের এই রায়ের জেরে নতুন করে বাঁধে বিতর্ক। যার জেরে বাধ্য হয়েই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে হয় শীর্ষ আদালতকে।
এরপর ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অভয় ওকা ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভূয়নের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে মামলাটি। সেখানেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারকে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি তৈরির নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। চলতি বছরের প্রথম দিকে নিজেদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে সেই বিশেষ কমিটি। যেখানে বলা হয়েছে, ‘নির্যাতিতা’ ওই অভিযুক্তকে ভালবাসেন এবং তার সঙ্গে ঘটা ঘটনাকে কোনও ভাবে তিনি নির্যাতন হিসাবে দেখেন না। মহিলার সেই বক্তব্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে নির্দোষ ঘোষণা করে আদালত।

