
নয়া দিল্লি: পাঁচ বছর কাজ করার পর কোনও কর্মী পদত্যাগ করলে বা স্বেচ্ছা অবসর নিলে পেনশন পাবেন না কিন্তু গ্র্যাচুইটি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৭২-এর ‘সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিস (পেনশন) রুলস’-অনুযায়ী পেনশন দেওয়ার কথা নয় ওই কর্মীকে, কিন্তু ‘পেমেন্ট অব গ্র্যাচুইটি অ্যাক্ট’ অনুযায়ী দিতে হবে গ্র্যাচুইটির টাকা। রায়ে শীর্ষ আদালত উল্লেখ করেছে, পাঁচ বছর একটানা কাজ করলেই পাওয়া যাবে ওই টাকা।
বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। অশোক কুমার দাবাস নামে এক কর্মী, যাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাঁর পরিবারের করা একটি মামলায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন বা ডিটিসি-তে কর্মরত ছিলেন ওই ব্যক্তি। ৩০ বছর কাজ করার পর অবসর নেন তিনি। কিন্তু তাঁকে অবসরকালীন কোনও টাকাই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। পেনশন পাওয়ার দাবি খারিজ করলেও গ্র্যাচুইটি আইনের ৪ নম্বর সেকশন অনুযায়ী, ওই টাকা দিতে হবে বলে নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
ওই ব্যক্তি ১৯৮৫ সালে কনডাক্টর হিসেবে সংস্থায় যোগ দেন। ২০১৪-তে পারিবারিক কারণে ইস্তফা দেন চাকরিতে। ২০১৫-কে ইস্তফাপত্র তুলে নিতে চান, কিন্তু তাতে রাজি হয়নি সংস্থা। অবসরকালীন টাকা চাইলে সংস্থার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে তিনি পিএফ ছাড়া আর কিছুই পাবেন না। এরপর প্রথমে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল ও পরে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। ট্রাইব্যুনালে ও হাইকোর্টে, দুই জায়গাতেই খারিজ হয়ে যায় তাঁর আবেদন। এরপর শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় তাঁর পরিবার।
মামলা শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট আংশিকভাবে আবেদন মেনে নেয়। শীর্ষ আদালত ডিটিসি-কে নির্দেশ দিয়েছে, যাতে অবিলম্বে ওই ব্যক্তিকে গ্র্যাচুইটির টাকা ও বাকি থাকা ছুটির টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। তবে ওই ব্যক্তিকে পেনশন দেওয়া হবে না।