Supreme Court: ‘সুপ্রিম কোর্টই মোকাবিলা করতে পারে’, ধনখড়-রিজিজুর বিরুদ্ধে হওয়া জনস্বার্থ মামলা খারিজ
PIL against Dhankhar-Rijiju: বিচার বিভাগ এবং বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কীরণ রিজিজুর 'অবমাননাকর মন্তব্যের' প্রেক্ষিতে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে হওয়া জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।
নয়া দিল্লি: বিচার বিভাগ এবং বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কীরণ রিজিজুর ‘অবমাননাকর মন্তব্যের’ প্রেক্ষিতে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করে একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল বম্বে হাইকোর্টে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে, হাইকোর্ট সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছিল। বম্বে হাইকোর্টের সেই রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন আবেদনকারীরা। কিন্তু সোমবার (১৫ মে), সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি এসকে কওল এবং আহসানুদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ বম্বে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে। বিচারপতি আহসানুদ্দিন আমানুল্লাহ বলেন, “আমাদের মতে, হাইকোর্টের দৃষ্টিভঙ্গি সঠিক। কোনও কর্তৃপক্ষ যদি কোনও অনুপযুক্ত বিবৃতি দিয়ে থাকে, তাহলে সুপ্রিম কোর্টই তার মোকাবিলা করতে পারে। এই পর্যবেক্ষণ সঠিক।”
গত বছরের শেষের দিক থেকেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কীরণ রিজিজু। তিনি বলেছিলেন, এই ব্যবস্থা স্বচ্ছ নয়। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ১৯৭৩ সালের কেশবানন্দ ভারতী মামলার রায় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। সেই রায় একটি নেতিবাচক উদাহরণ তৈরি করেছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আইনমন্ত্রী এবং উপরাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ‘বম্বে লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’ অভিযোগ করেছিল যে, রিজিজু এবং ধনখড় শুধু বিচার বিভাগকেই নয়, সংবিধানকেও অসম্মান করেছেন। এই অভিযোগ করে বম্বে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিল বিএলএ। এই মামলার বিচার সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ধনখড় এবং রিজিজুকে যথাক্রমে উপরাষ্ট্রপতি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে, ভারতীয় সংবিধান এবং বিচারব্যবস্থার প্রতি অবমাননাকর, অপমানজনক বা আপত্তিকর বিবৃতি দেওয়া থেকেও তাদের বিরত থাকার বিষয়ে নির্দেশ চাওয়া হয়েছিল জনস্বার্থ মামলায়।
বম্বে হাইকোর্ট অবশ্য এই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছিল। হাইকোর্ট বলেছিল, “সুপ্রিম কোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা আকাশছোঁয়া এবং কোনও ব্যক্তি বিশেষের বিবৃতিতে তার ক্ষতি হয় না।” এদিন এই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা করার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল উচ্চ আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, প্রচার পাওয়ার জন্য জনস্বার্থ মামলা করা উচিত নয়। জনস্বার্থ মামলার আসল উদ্দেশ্য, বৈধ সামাজিক অভিযোগ বা ক্ষতির সমাধান করা। বম্বে হাইকোর্ট বলেছিল, “জনসাধারণের প্রকৃত সমস্যা বা জনসাধারণের ক্ষতির প্রতিকারের জন্যই জনস্বার্থ মামলা ব্যবহার করা উচিত, এটা প্রচার পাওয়ার ভিত্তি হতে পারে না।”