নয়া দিল্লি: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক প্রশিক্ষণার্থী মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। দেশ ছাড়িয়ে এই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। এই ঘটনার জেরে বাতিল করা হয়েছে রবিবার নির্ধারিত ডুরান্ড কাপ ফাইনাল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কলকাতা ডার্বি। বন্ধ মরসুমের দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবভারতী স্টেডিয়াম চত্বরে, রবিবার (১৮ অগস্ট), যখন দুই দলের ফুটবল সমর্থকরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, সেই একই সময়ে কলকাতার এই ন্যক্কারজনক ঘটনা নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট। স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলা গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট।
মঙ্গলবার (২০ অগস্ট), কলকাতার এই ধর্ষণ-খুনের ঘটনার শুনানি করবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ছাড়া এই বেঞ্চে থাকছেন বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।
বৃহস্পতিবারই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ন্য়ক্কারজনক ঘটনার মামলাটি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে একটি চিঠি লিখেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী, উজ্জ্বল গৌর এবং রোহিত পান্ডে। তাঁরা বলেছিলেন এটা পরিস্থিতির দাবি। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত এবং হস্তক্ষেপ করা উটিত। এটা সময়ের প্রয়োজন।
চিঠিতে বলা হয়েছিল, “বিচার বিভাগকে ন্যায়বিচারের চূড়ান্ত অভিভাবক হিসাবে দেখে গোটা দেশ। যাদের কান্নাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে বর্বরতা, তাদের শেষ আশ্রয়স্থল। এই ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী, একজন তরুণ ডাক্তার, যার জীবন অন্যদের সেবা করার জন্য নিবেদিত ছিল। আমাদের আইনি ব্যবস্থায় যে সর্বোচ্চ ন্যায়বিচার প্রদান করা যায়, তার চেয়ে কিছু কম তাঁকে দেওয়া যায় না। তাঁর মৃত্যু যেন বৃথা না যায়। যাতে অন্য কোনও মহিলার এই দুর্ভাগ্য না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এই মৃত্যু আমাদের সেই কাজের অনুপ্রেরণা হওয়া উচিত।”
শনিবারই আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ন্যক্কারজনক ঘটনার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। বিষয়টি আমলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয় আদালতকে। এরপরই এই পদক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট।