নয়া দিল্লি: সশস্ত্র বাহিনীতে ‘ব্যাভিচার’ (Adultry)-কে অপরাধ হিসাবেই ধরা হবে কিনা, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কেন্দ্রের আবেদনকে খতিয়ে দেখতে প্রধান বিচারপতিকে পাঁচ সদস্যের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনেরও অনুরোধ করা হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট ১৫৮ বছরের পুরনো আইনকে বাতিল করে দেয়, যেখানে বলা হয়েছিল যদি কোনও বিবাহিত ব্যক্তির সঙ্গে অন্য কারোর শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়, তবে তা বেআইনি বলে গণ্য করা হবে। সেই আইনে বলা হয়েছিল, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জন্য একজন পুরুষকেও শাস্তি দেওয়া যাবে না এবং একজন মহিলাকেও তাঁর স্বামীর সম্পত্তি হিসাবে গণ্য করা যাবে না।
এই আইনে যৌন ধারণার চিরাচরিত রীতিকেই তুলে ধরা হয়েছিল, যেখানে একজন পুরুষকে “প্রলোভনকারী” ও “প্রতারক” হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং মহিলাদের “প্রলুব্ধ” হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।২০১৮ সালে রায় ঘোষণার সময় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বলেন, “ব্যভিচার অপরাধ নয়, এবং একে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা যায় না।”
আরও পড়ুন: বলিউডে কাজের লোভ দেখিয়ে ‘ধর্ষণ’, গায়িকার অভিযোগ ওড়ালেন মন্ত্রী
আজ কেন্দ্রের তরফে একটি আবেদন করে বলা হয়, ২০১৮ সালের এই রায় যেন সেনাবাহিনীর উপর কার্যকর না করা হয়। কেন্দ্রের আবেদনে বলা হয়েছে, “ব্যভিচার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় সেনাবাহিনীর কর্মীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে পারে কারণ তাঁদের পরিবার থেকে দীর্ঘ সময় দূরে থাকতে হয় এবং একটি নির্দিষ্ট ভঙ্গিতেই ব্যবহার করতে হয়। সেনাবাহিনীতে নিয়মানুবর্তিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।” ব্যভিচারে সম্মতি দিলে তা সেনাবাহিনীর নিয়মভঙ্গ করতে পারে।
আজ কেন্দ্রের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে যে ব্যক্তির আর্জির প্রেক্ষিতে এই আইন বাতিল করা হয়েছিল, তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়। ২০১৮ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, “বিবাহের সম্পর্কের পবিত্রতা রক্ষা করা আবশ্যক।” এর জবাবে শীর্ষ আদালতের তরফে প্রশ্ন করা হয়, “যদি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে কোনও শাস্তি না দেওয়া হয়, তবে কীভাবে বিবাহের পবিত্রতা রক্ষা হবে?”
আরও পড়ুন: ‘অভি নেহি তো কভি নেহি’, ট্রাক্টর মিছিলে যোগদানের উদ্দেশ্যে প্রচার গুরুদ্বারগুলিতে