গ্রামবাসীদের উৎসাহ দিতে করোনা পরীক্ষা করাচ্ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান, নাকেই সোয়াব স্টিক ভেঙে ঘটল বিপত্তি!

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Jun 13, 2021 | 2:55 PM

নাক থেকে সোয়াব সংগ্রহের সময়ই স্বাস্থ্যকর্মীর অসাবধানতায় নাকের ভিতরই স্টিকটি ভেঙে আটকে যায়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও নার্স মিলেও ওই সোয়াব স্টিকটি বের করতে পারেননি।

গ্রামবাসীদের উৎসাহ দিতে করোনা পরীক্ষা করাচ্ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান, নাকেই সোয়াব স্টিক ভেঙে ঘটল বিপত্তি!
প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

হায়দরাবাদ: গ্রামের মানুষেরা তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হবেন, এই ভেবেই করোনা পরীক্ষা করতে সবার আগে এগিয়ে এসেছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। নমুনা সংগ্রহের জন্য নাকে সোয়াব স্টিক ঢোকাতেই যে রক্তারক্তি কাণ্ড হবে, তা ভাবতেও পারেননি। প্রশিক্ষণহীন স্বাস্থ্যকর্মী করোনার নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে নাকেই ভেঙে ফেললেন সোয়াব স্টিক। দীর্ঘক্ষণ নাকে আটকে থাকার পর তা বহু কষ্টে বের করা সম্ভব হয়।

তেলঙ্গনার করিমনগর জেলার ভেঙ্কটারোপল্লি গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান জুভাজি শেখর করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে এমনই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলেন। তিনি জানান, গ্রামের মানুষদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই তিনি সকলকে অনুরোধ করেছিলেন করোনা পরীক্ষার জন্য। বাকিদের মন থেকে ভয় কাটাতে নিজেই এগিয়ে গিয়েছিলেন সবার আগে। কিন্তু সোয়াব স্টিক নাকে ঢোকাতেই ঘটল বিপত্তি।

জানা গিয়েছে, গোপালরাওপেট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা পরীক্ষা চলছিল। সেখানে নাক থেকে সোয়াব সংগ্রহের সময়ই স্বাস্থ্যকর্মীর অসাবধানতায় নাকের ভিতরই স্টিকটি ভেঙে আটকে যায়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও নার্স মিলেও ওই সোয়াব স্টিকটি বের করতে পারেননি। বরং টানাটানিতে সেটি আরও ভিতরে ঢুকে যায়।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই পঞ্চায়েত প্রধানকে করিমনগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এন্ডোস্কোপি করে আটকে থাকা সোয়াব স্টিকটি বের করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, সোয়াব স্টিকটি ভেঙে নাক থেকে গলায় প্রবেশ করে আটকে গিয়েছিল। এ দিকে, হাসপাতাল থেকে ফিরেই গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অদক্ষ ও প্রশিক্ষণহীন স্বাস্থ্যকর্মীর অভিযোগ জানান।

আরও পডুন: তালা খুলছে রাজধানীর, কোন ক্ষেত্রে ছাড়, কোথায় বিধি-নিষেধ?

Next Article