Child birth in School: স্কুলের টয়লেটে সন্তানের জন্ম, পেন দিয়ে আম্বিলিকাল কর্ড কেটে ক্লাসে ফিরল ১৬ বছরের ছাত্রী

Minor Gives Birth: ওই ছাত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, ক্লাস চলাকলীনই প্রসববেদনা অনুভব করে সে। তার পর গিয়েছিল স্কুলের বাথরুমে। সেখানেই বাচ্চার জন্ম দেয়।

Child birth in School: স্কুলের টয়লেটে সন্তানের জন্ম, পেন দিয়ে আম্বিলিকাল কর্ড কেটে ক্লাসে ফিরল ১৬ বছরের ছাত্রী
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2022 | 7:56 PM

চেন্নাই: ছাত্রীরা স্কুলের মধ্যেই সন্তানের জন্ম দিচ্ছে। তামিলনাড়ু কয়েক দিনের ব্যবধানে এ রকম দুটি ঘটনা সামনে এল। দিন কয়েক আগে তামিলনাড়ুর একটি স্কুলের টয়লেটে নবজাতকের দেহ মিলেছিল। তার পর পুলিশ খবর দেওয়া হয় স্কুলের তরফে। কে ওই নবজাতকের জন্ম দিয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে উঠে এল সেই স্কুলের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী ওই বাচ্চার জন্ম দিয়েছিল। ওই ছাত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, ক্লাস চলাকলীনই প্রসববেদনা অনুভব করে সে। তার পর গিয়েছিল স্কুলের বাথরুমে। সেখানেই বাচ্চার জন্ম দেয়। স্কুলের বাথরুমে পেন দিয়ে আম্বিলিকাল কর্ড কেটেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে ওই নাবালিকা ছাত্রী। ঘটনার পর তুমুল হইচই পড়ে যায় ওই স্কুলে। পুলিশ ওই ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেছে বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি ছাত্রীর অন্তঃসত্ত্বার জন্য কে দায়ী, তাঁকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এ জন্য ছাত্রীর আত্মীয় এবং গ্রামের কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

তামিলনাড়ুর ভুবনগারি থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রী স্কুলের টয়লেটে বাচ্চার জন্ম দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশের এক অফিসার বলেছেন, “সেখানে নাবালিকা ছাত্রী বাচ্চার জন্ম দেয়। আমাদের কারও সাহায্য ছাড়াই জন্ম দিতে গিয়েই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। ছাত্রী জানিয়েছে, পেন দিয়ে আম্বিলিকাল কর্ড কেটে বাচ্চার সঙ্গে নিজের দেহ আলাদা করেছিল সে। বাচ্চার জন্ম দিয়ে আবার ক্লাসরুমে ফিরে যায় সে। ছাত্রীটি জানিয়েছে, তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ব্যাপারে পরিবারের কেউ জানত না” ওই পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ছাত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করে থাকতে পারেন ওই সন্দেহে তাঁর আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। এবং তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

দিন কয়েক আগে তামিলনাড়ুর একটি গ্রামের মেয়েদের সরকারি স্কুলে বাচ্চার জন্ম দিয়েছিল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। জন্মের পর নবজাতককে স্কুলের পাশে একটি ঝোপে ফেলে দিয়েছিল। সেই ঘটনায় ওই ছাত্রীর প্রেমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই প্রেমিক অন্য একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত।