নয়া দিল্লি: দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অক্সিজেন সঙ্কট। সংক্রমণে সর্বাধিক প্রভাবিত প্রায় সবকটি রাজ্যেই বিপুল ঘাটতি দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের। এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল টাটা সংস্থা। মঙ্গলবারই তারা টুইট করে জানায়, দেশের অক্সিজেন সরবরাহে সাহায্যে ২৪টি ক্রায়োজেনিক কন্টেনার আনানোর ব্যবস্থা করছে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই টুইটের জবাবে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউকে ঝড়ের সঙ্গে তুলনা করে তিনি জানান, দেশের অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সকলের কাছে যাতে অক্সিজেন পৌঁছে যায়, সেই প্রচেষ্টাই করা হচ্ছে। অক্সিজেন উৎপাদন এবং সরবরাহ বৃদ্ধিতে বিভিন্ন স্তরে নানা ব্যবস্থাপনার কথাও বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শেষের কিছুক্ষণ পরেই টাটা গোষ্ঠীর তরফে একটি টুইট করা হয়। সেখানে বলা হয়, “ভারতীয়দের কাছে প্রধানমন্ত্রীর আবেদন প্রশংসনীয় এবং আমরা, টাটা গোষ্ঠী করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি জোগাতে যথাসম্ভব সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের অক্সিজেন সঙ্কট মেটাতে টাটা গোষ্ঠী ২৪টি ক্রায়োজেনিক কন্টেনার আমদানি করছে, যা তরল অক্সিজেন পরিবহন ও অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করবে।”
Compassionate gesture by the Tata Group.
Together, the people of India will fight COVID-19. https://t.co/7LnemItJ0j
— Narendra Modi (@narendramodi) April 20, 2021
টাটা গোষ্ঠীর এই ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী সেই টুইটটিকে রিটুইট করেন এবং লেখেন, “সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ। একসঙ্গেই আমরা ভারতীয়রা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করব।”
এর আগে শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছিল, তারা ১০০ টন অক্সিজেন সরবরাহ করবে মহারাষ্ট্রে। টাটা গোষ্ঠীর তরফেও ইতিমধ্যেই ৩০ টন অক্সিজেন পাঠানো হয়েছে। গতবছরও সংক্রমণের শুরুতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল এই সংস্থাগুলি। টাটা গোষ্ঠীর ১৫০০ কোটি টাকা অনুদান, প্রচুর পরিমাণে ভেন্টিলেটর, পিপিই কিট, টেস্টিং কিট সরবরাহ করেছিল। কেরলে মাত্র ছয় সপ্তাহে একটি হাসপাতালও তৈরি করেছিল।
আরও পড়ুুন: করোনা কড়চা: রাজ্য ও বেসরকারি হাসপাতাল কত টাকায় কোভিশিল্ড পাবে? জানাল সেরাম