Noida Murder Case: বাসন না মাজায় বকা দিতেই উগ্রমূর্তি মেয়ের, ফ্রায়িং প্যান দিয়েই পিটিয়ে মারল মাকে!
Noida Murder Case: রবিবার রাতে ওই কিশোরী তাঁদের আবাসনের ১৪ তলার এক প্রতিবেশীর ঘরে যায় এবং জানায় যে তাঁর মা পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। ওই ব্যক্তি সঙ্গে সঙ্গে কিশোরীর সঙ্গে যান এবং গিয়ে দেখেন, গোটা ঘরে রক্তবন্যা বইছে।
নয়া দিল্লি: কাজে বেরনোর সময় মেয়েকে বাসন মেজে রাখতে বলেছিলেন, বাড়ি ফিরেও দেখলেন সেই বাসন মাজা হয়নি। ফোনেই ব্যস্ত মেয়ে। বকাবকি করতেই উগ্রমূর্তি ধারণ করল মেয়েও। বচসার মাঝেই হঠাৎ ফ্রায়িং প্যান (Frying Pan) তুলে মায়ের মাথায় একের পর এক আঘাত করতে শুরু করল। রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে মা লুটিয়ে পড়তেই ফের রূপ বদল মেয়ের। সঙ্গে সঙ্গে ছুটল প্রতিবেশীকে ডাকতে। দ্রুত ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই ওই কিশোরীকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে এবং সংশোধনগারে (Correctional Home) পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডার সেক্টর ৭৭-এ। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা তাঁর মেয়েকে নিয়েই থাকতেন, পাঁচ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। রবিবার রাতেই ওই কিশোরী তাঁর মাকে পিটিয়ে খুন করে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ওই কিশোরী তাঁদের আবাসনের ১৪ তলার এক প্রতিবেশীর ঘরে যায় এবং জানায় যে তাঁর মা পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। ওই ব্যক্তি সঙ্গে সঙ্গে কিশোরীর সঙ্গে যান এবং গিয়ে দেখেন, গোটা ঘরে রক্তবন্যা বইছে। মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই মহিলা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ওই মহিলার বয়স ৩৫-র কাছাকাছি। তিনি গ্রেটার নয়ডার একটি সাপ্লাই ফার্মে কাজ করতেন। রবিবারও তিনি কাজে বেরিয়েছিলেন। যাওয়ার আগে নিজের ১৪ বছরের মেয়েকে বাসন মেজে রাখতে বলেছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফিরে দেখেন, ফোনেই ব্যস্ত মেয়ে, বাসন মাজা হয়নি। এই কারণে তিনি বকাবকি করতেই মা-মেয়ের মধ্যে বচসা শুরু হয়। আচমকাই ওই কিশোরী একটি ফ্রাইং প্যান তুলে নিয়ে ওই মহিলার মাথায় লাগাতার আঘাত করতে শুরু করে।
পুলিশি জেরায় প্রথমে ওই কিশোরী জানিয়েছিল, সে হাঁটতে বেরিয়েছিল। বাড়ি ফিরে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেই প্রতিবেশীকে খবর দেয় এবং হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এবং আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ওই কিশোরীর মিথ্যা ধরা পড়ে যায়। পরে আরও জেরা করাতেই ওই কিশোরী ভেঙে পড়ে এবং পুলিশের কাছে সমস্ত অপরাধ স্বীকার করে নেয়।