‘তেজস্বী যাদব বলছি’, এক ধমকেই সুর নরম জেলাশাসকের

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ইকো পার্কে আন্দোলনকারীদের মাঝে দাঁড়িয়েই জেলা শাসক চন্দ্রশেখর সিংকে ফোন করছেন তেজস্বী যাদব। ফোন ধরতেই তেজস্বী বলেন, "আন্দোলনকারীদের ধর্ণায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? এদের কি প্রতিদিন অনুমতি চাইতে হবে?"

'তেজস্বী যাদব বলছি', এক ধমকেই সুর নরম জেলাশাসকের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 21, 2021 | 4:12 PM

পটনা: নির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসতে পারেননি তো কী হয়েছে! নিজের তেজ কতটা, তা আবারও প্রমাণ করলেন বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। সম্প্রতি জেলাশাসকের সঙ্গে তাঁর বার্তালাপের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই বোঝা গেল বিরোধী দলনেতা হিসাবেও কতটা ক্ষমতাবান তিনি।

ঘটনার সূত্রপাত শিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভের আবেদন ঘিরে। শিক্ষকদের আন্দোলনে সমর্থন জানাতে আসেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা তেজস্বী যাদব। সেই সময়ই আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা ধর্ণায় বসতে চাইলেও সেই আবেদন বারবার খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। এরপরই তিনি একে পুলিস প্রধান, মুখ্যসচিব ও জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন এবং আন্দোলনকারীদের অনুমতি মেলার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ইকো পার্কে আন্দোলনকারীদের মাঝে দাঁড়িয়েই জেলা শাসক চন্দ্রশেখর সিং (ChandraShekhar Singh)-কে ফোন করছেন তেজস্বী যাদব। ফোন ধরতেই তেজস্বী বলেন, “আন্দোলনকারীদের ধর্ণায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? এদের কি প্রতিদিন অনুমতি চাইতে হবে? এখানে রোজ লাঠিচার্জ হচ্ছে, আন্দোলনকারীদের খাবার ছুড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। পুলিসের তাড়ায় সবাই ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকজন আমার সঙ্গে ইকো পার্কে রয়েছে। আমি আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপ করিয়ে দিচ্ছি, আপনি অনুমতি দিয়ে দিন।”

আরও পড়ুন: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সিরাম ইন্সটিটিউটে, আগুন নিয়ন্ত্রণে হাজির দমকলের ১০টি ইঞ্জিন

এর জবাবে জেলাশাসক উত্তর দেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন। সঙ্গে সঙ্গে তেজস্বী বলেন, “কতক্ষণের মধ্যে জানাবেন?”, এতেই রেগে যান জেলাশাসক। ধমকের সুরে তিনি বলেন, “কতক্ষণ মানে? আপনি আমায় প্রশ্ন করছেন?” জেলাশাসকের ধমকের জবাবে একটাই কথা বলেন তেজস্বী, আর তাতেই বাজিমাত।

লাউডস্পিকারে দেওয়া ফোনে জেলাশাসককে শান্ত সুরেই লালু-পুত্র বলেন, “ডিএম সাহেব, আমি তেজস্বী যাদব বলছি”। এক মুহূর্ত থেমেই সঙ্গে সঙ্গে সুর বদলে জেলাশাসক বলেন, “আচ্ছা স্যার, ওকে স্যার।” জেলাশাসকের সুর বদলে যাওয়ায় হাসিতে ফেটে পড়ে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। হাসির রোল থামিয়ে তেজস্বী বলেন, “আমি আপনাকে একটা হোয়াটসঅ্যাপ টেক্সট করছি। তাড়াতাড়ি জবাব দিন, নয়তো আমায় সারারাত এখানেই বসে থাকতে হবে”, এই বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।

টুইটারে এই ভিডিয়োটি পোস্ট হওয়া মাত্র ভাইরাল হয়ে যায়। সমাজকর্মী সুধীন্দ্র কুলকার্নিও ভিডিয়োটি শেয়ার করে লেখেন, “হম তেজস্বী যাদব বোল রহে হ্যায়-অবশ্যই ভিডিয়োটি দেখা উচিত। শেষ পর্যন্ত দেখলে তবেই বুঝবেন যে কেন তেজস্বী যাদবকে দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় নেতা বলা হচ্ছে”।

আরও পড়ুন: ৫০ হাজার পেরিয়েও প্রশ্ন, কোন ‘জাদুবলে’ বাড়ছে সেনসেক্স?