AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Telangana: নিজের মেয়ের সঙ্গেই যৌন-দৃশ্য চেয়েছিল পর্ন-আসক্ত বাবা, তারপর…

Telangana: পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে সে, তার মেয়ে নিখোঁজ বলে অভিযোগও দায়ের করেছিল। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে গিয়েছে তার এই জঘন্য অপরাধ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানা রাজ্যে। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Telangana: নিজের মেয়ের সঙ্গেই যৌন-দৃশ্য চেয়েছিল পর্ন-আসক্ত বাবা, তারপর...
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Jun 21, 2024 | 10:36 PM

হায়দরাবাদ: পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ছিল বাবা। মদ্যপানও করেছিল। তারপর নিজেরই ১২ বছরের মেয়ের সঙ্গে যৌন দৃশ্য রেকর্ড করতে চেয়েছিল। নাবালিকা মেয়েটি ধর্ষণে বাধা দেওয়ায়, তাকে সে পাথর দিয়ে থেঁতলে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে সে, তার মেয়ে নিখোঁজ বলে অভিযোগও দায়ের করেছিল। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে গিয়েছে তার এই জঘন্য অপরাধ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানা রাজ্যে।

পুলিশ জানিয়েছে, আগে এই পরিবার থাকত তেলঙ্গানার মাহুবাবাদ জেলায়। দিন পনেরো আগে তারা হায়দরাবাদের মিয়াপুরে চলে এসেছিল। গত ৭ জুন, ১২ বছর বয়সী মেয়েটি মাহবুবাবাদে ফিরে যাওয়ার বায়না করেছিল। সেখানেই তার বন্ধু-বান্ধব, চেনা লোকজন থাকে। ওই সময় তার মা-ও মাহুবাবাদের বাড়িতেই ছিল। মেয়ের আবদার শুনে বাবা তাকে বলেছিল মায়ের কাছে নিয়ে যাবে। এই বলে সকাল ১০টা নাগাদ স্থানীয় একটি মুদি দোকান থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল।

এরপর, মাহুবাবদের রাস্তায় এক জনবিচ্ছিন্ন এলাকায় তাদের গাড়িটি দাঁড় করিয়েছিল অভিযুক্ত বাবা। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, সে তার মেয়েকে জোর করে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর, সেখানে সে তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তি পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ছিল। এতটাই আসক্তি ছিল তার যে নিজের মেয়ের সঙ্গেই একটি যৌন-দৃশ্য রেকর্ড করতে চেয়েছিল। মেয়েটি অবশ্য বাধা দেয়। চিৎকার করে ওঠে। সে এই ঘটনার কথা মাকে বলে দেবে বলে হুমকিও দিয়েছিল বাবাকে।

মিয়াপুর পুলিশের দাবি, এতেই খেপে গিয়েছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি। এমনিতেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল সে। মাকে বলে দেবে বলার পরই, সে তার মেয়েকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে গিয়েছিল। পড়ে গিয়ে ঘাত পায় কিশোরী মেয়েটি। তার মাথা ফেটে গিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়েছিল। তাতে ঘাবড়ে গিয়েছিল ওই ব্যক্তি। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে সে একটি পাথর তুলে মেয়েকে আঘাত করা শুরু করেছিল। পাথরের আঘাতে আঘাতে একসময় মৃত্যু হয় মেয়েটির। এরপর, ওই স্থান থেকে পালিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত। কিন্তু, মিনিট দশেক পর আবার সে হত্যাস্থলে ফিরে এসেছিল। তার মেয়ে সত্যি সত্যি মারা গিয়েছে কিনা পরীক্ষা করে সে।

মেয়েকে হত্যার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর সে মাহুবাবাদের বাড়িতে চলে যায়। তার শার্টে রক্ত লেগেছিল। সেটা পাল্টে একট নতুন শার্ট পড়েছিল। স্ত্রীকে সে বলেছিল, তাদের মেয়ে হারিয়ে গিয়েছে। ওই দিনই সে পুলিশের কাছে গিয়ে মেয়ের নিখোঁজের অভিযোগও দায়ের করেছিল। এরপরই তদন্তে নেমেছিল পুলিশ। ১৩ জুন মিয়াপুরের জঙ্গলে একটা পচা-গলা লাশ পেয়েছিল তারা। ময়নাতদন্তে জানা যায়, লাশটি ওই মেয়েটির। এরপর ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। তাতে স্পষ্ট দেখা যায়, অভিযুক্ত তার মেয়েকে নিয়ে ওই জঙ্গলে ঢুকছে এবং একটু পরে একা বেরিয়ে চলে যাচ্ছে।

এরপর, অভিযুক্তকে আটক করে তাকে জেরা করতেই সে তার নিজের মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসিপি নরসিমা রাও জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি তার আদিবাড়ি অর্থাৎ মাহুবাবাদের বাড়িতে এক বৃদ্ধ ব্যক্তির কাছে মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছিল। ওই ব্যক্তি তাঁকে আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রায় একই সময়ে পুলিশ বুঝতে পারে মেয়েকে হত্যার করেছে সে নিজেই।